ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মানিক মিয়া জমাদ্দার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম তাঁর মেয়ে শিমু আক্তারকে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিজ প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেন। পরে গ্রন্থাগারিক সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় নিয়োগ বাতিল হয়। কিছুদিন পর পরীক্ষা দিয়ে সনদ সংগ্রহ করলে পুনরায় সেই পদে শিমুকে চাকরি দেয়া হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তারাবুনিয়া এলাকার পরিণয় কুমারকে জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। বিনিময়ে পরিণয় কুমারের বাবা প্রফুল্ল হালদার বিদ্যালয়ের নামে ৩৫ শতাংশ জমি দান করেন। প্রফুল্ল হালদার মৃত্যুবরণ করলে প্রধান শিক্ষকের পরামর্শে তাঁর ছেলে পরিণয় কুমার দাতা হয়ে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে স্কুলের ৩৫ শতাংশ জমি তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। ওই দলিলের সাক্ষী থাকেন প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম নিজে। পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে দেয়া জমিতে দুই লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ছিল, যা প্রধান শিক্ষক বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এদিকে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন প্রধান শিক্ষক। মোটা অঙ্কের উেকাচের বিনিময়ে নোট ও গাইড বই শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করেন। তা ছাড়া তিনি মাসের বেশির ভাগ সময় বিদ্যালয় অনুপস্থিত থাকেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা থাকায় তাঁকে কেউ কিছু বলতে পারে না। প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।