লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও ২নং মুন্সীটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আলীর বিরুদ্ধে তা না মানার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিস্কুট বিতরণে পরিমানে কম দেয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, করোনায় স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুল ফিডিংয়ের ৩৯ প্যাকেট বিস্কুট বিতরণের নির্দেশ প্রদান করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ১৩ মে হাতীবান্ধায় বিস্কুট বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি। এসময় উপজেলার ১৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ হাজার ২৯৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৯ প্যাকেট করে বিস্কুট বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের ৩০ প্যাকেট করে বিস্কুট হাতে তুলে দিচ্ছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আলী।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমাদের স্যারেরা স্কুলে আসতে বলেছেন তাই এসেছি। আমরা শুনতে পেয়েছি আজকে নাকি আমাদের স্কুলে বিস্কুট (টিফিন) দেয়া হবে।
অভিভাবক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্কুট নিতে স্কুলে আসতে বলেন। দীর্ঘদিন পর স্কুলে আসার কথা শুনে ছুটে আসে শিক্ষার্থীরা। ফলে স্কুল মাঠে শুরু হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন সমাগম। এ সময় ভেঙ্গে পরে সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশনাও।
অভিভাবকরা আরও জানান, সামাজিক দূরত্ব না মেনে হৈ-চৈ করে ৩০ প্যাকেট করে বিস্কুট বিতরণ করেছেন ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসান আলী। আমাদের এমপি মহোদয় তো ৩৯ প্যাকেট করে বিস্কুট দিতে বাচ্চাদের বাড়িতে দিতে বলেছে।
তারা বলেন, এভাবে বিস্কুট বিতরণ করা ঠিক হচ্ছে না। বর্তমান সময়ে কখন শিশুরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিক হাসান আলী দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমি স্কুলে কম বিস্কুট পেয়েছি। তাই কম বিতরণ করেছি। ৩০ প্যাকেট করে দেয়াই বেশি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, স্কুলে শিক্ষকদের বিস্কুট বিতরণের কোনো নিয়ম নেই। যারা স্কুলে-স্কুলে বিস্কুট পৌছে দেয়, তারাই শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে ৩৯ প্যাকেট করে বিস্কুট পৌঁছে দিবেন।