দুই শিক্ষকের ফেইসবুকে দেওয়া পোস্টের তদন্ত চেয়ে ছাত্রলীগ নেতা স্মারকলিপি দেওয়ার পর বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার এই তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তা রোববার (২২ জুলাই) প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর এ বি এম আবু নোমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হয়েছে।”
কমিটিতে সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমানকে সদস্য এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হাছান মিয়াকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
সমাজতত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাইদুল ইসলাম এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজীর ফেইসবুক পোস্ট নিয়ে তদন্ত করবে এই কমিটি।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) মো. সামসুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে বলা হয়, “তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় লণ্ডভণ্ড করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে দেয়া পোস্ট এর বিষয়ে উপাচার্য মহোদয় বরাবরে একটি অভিযোগ পত্র পেশ করা হয়েছে।”
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন নিয়ে ফেইসবুকে নিউজ শেয়ার করায় সমাজতত্ব বিভাগের অধ্যাপক মাইদুল হাসানকে সম্প্রতি হুমকি দেওয়া হয়।
তার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক আলী আর রাজীও রোষানলে পড়েন। এই দুই শিক্ষককে ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়ে গত মঙ্গলবার উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু।
সংগঠনটির বিলুপ্ত কমিটির নেতা আলমগীর টিপু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলা এবং সিআরবিতে জোড়া খুনের মামলার আসামি।
শিক্ষকদের পক্ষে গত বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার মুখে পড়েছিলেন একদল শিক্ষার্থী।