ছাত্রলীগের হারানো অতীত ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এই কথা জানান তিনি। এর আগে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রস্তাবের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একটি প্রস্তাব রেখেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ ছাত্রলীগকে ভারমুক্ত করে দিলাম। আজ থেকে আর ভার থাকবে না। আজকের দিন থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আর ভারপ্রাপ্ত নয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থেকে তারা ভারমুক্ত হলো।’
এ ব্যাপারে অনুষ্ঠান শেষে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী সুনামের সঙ্গে কাজ করবো। ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন হিসেবে গৌরব-ঐতিহ্যের যে ইতিহাস, তা অক্ষুণ্ন রেখেই ছাত্রলীগের কার্যক্রম পরিচালনা করবো। প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো।’
সংগঠনকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে সারা দেশে ছাত্রলীগের ১১১টি ইউনিটের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে ১১১টি ইউনিটের মধ্যে ২টি কমিটি আগে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো আমরা যথা সময়ে তারিখ ঘোষণা করে দিয়ে দেবো।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যবলেন, ‘ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পুরস্কার হিসেবে নেত্রী আমাদের হাতে সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দিয়েছেন। অভিব্যক্তি প্রকাশ করার ভাষা আমাদের নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সংগঠনকে নেতৃত্ব দেবো।’
এর আগে, ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। চাঁদাবাজিসহ নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। শনিবারের এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও শোভন ও রাব্বানীকে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাইকমান্ডের নির্দেশে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।