ভুল প্রবেশপত্র দিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করায় পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মাইগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের সচিব আমিনুল হকের নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার ও বরখাস্তের দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
গত ২রা ফেব্রুয়ারী মাহিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আনতে গিয়ে তৃষ্ণা রানী দেখতে পায় বাণিজ্য বিভাগের পরিবর্তে প্রবেশপত্রে মানবিক বিভাগ এসেছে। সে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি অবগত করলে প্রধান শিক্ষক তাকে সান্তনা না দিয়ে মানবিক বিভাগেই পরীক্ষা দিতে হবে জানায়। পড়ে স্কুল থেকে দুপুরে বাড়ীতে এসে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে তৃষ্ণা। এ ঘটনায় জেলা শিক্ষা অফিস এবং দিনাজপুর বোর্ড পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
পরে স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী তৃষ্ণা মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের গাফিলাতির শাস্তি ও তাকে বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ,সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারি তৃষ্ণা রানীর বাবা দুলাল রায় তার মেয়ে আত্মহত্যার জন্য প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা করেন।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সোমবার সকালে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারের আগে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। বিদ্যালয়ে কোনো কমিটি নেই। ১৩ জন শিক্ষকের স্থলে আছে মাত্র ছয়জন। সব মিলিয়ে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা চলছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে খেলার কোনো সুযোগ নেই।
গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, দোষীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।