প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে আরও ৬৭ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও আছে। এদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির জন্য ৬৩ জন এবং অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩ জনকে সাময়িক আর সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় দুজনকে ছয় মাস করে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি) শৃঙ্খলা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এসেছে। জালিয়াতির ঘটনায় এ নিয়ে আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৮ জনে।
সাময়িক বহিষ্কৃত ১৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিনো হয়েছে। এবং তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
এর বাইরে ডিবি উপ-কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ৩১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক সাজা দেওয়া হয়েছে৷
গত বছরের ২৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জনের মধ্যে ১৫ জনকে আগেই আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারের তথ্য নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, জালিয়াতদের ছাড় দেয়া হবে না। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার প্রশ্ন। কিছুদিন আগে অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের চার শিক্ষার্থীকে হল প্রশাসন আজীবন বহিষ্কার করে এবং অধিকতর শাস্তির সুপারিশ করে ডিবিতে পাঠায়। তাদের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ হওয়ায় আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, গত বছরের অক্টোবরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মারধরের শিকার হয়েছিলেন বলে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছিলেন। ওই ঘটনায় দুজনকে ছয় মাস করে বহিষ্কার করা হয়েছে।