প্রাথমিকের প্রায় ১১ কোটি বইয়ের টেন্ডার নিয়ে জটিলতা তৈরির চেষ্টা করছে কতিপয় প্রকাশক। বরাবরের মতোই তারা এ কাজে ব্যবহার করছে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তা ও কতিপয় ঠিকাদারকে। প্রকাশকদের সিন্ডিকেট বলতে চায়, বর্তমান টেন্ডারে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের দর অনুযায়ী কাজ করতে হলে সরকারের অতিরিক্ত আরও ১১১ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হবে। তারা গত দুই বছর ধরে প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কম দামে বইয়ের কাজ করলেও এবার বেশি দামে অংশ নেয়ার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি, বইয়ের মূল কাচাঁমাল কাগজ, আর্ট পেপার ও কালির দাম বেড়ে যাওয়ার অজুহাত দেখাচ্ছেন।
জানা যায়, প্রাথমিকের বই ৮০ গ্রাম জিএসএম কাগজে ছাপানো হয়। আর এইয়ের কাগজের ব্লাইটনেস (উজ্জ্বলতা) ৮৫ গ্রাম। প্রাথমিকের বইয়ে রি-সাইক্লিং পেপারে ছাপানো যায় না। আন্তজার্তিক বাজারে ডলারের দাম বাড়ায় বেড়ে যাওয়ায় কাগজের দাম ও আর্ট পেপারে দুটি দামই বেড়েছে বলে দাবী করে সিন্ডিকেট।
এ ব্যাপারে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য একটি মূল্যায়ন কমিটি আছে। তারাই বিষয়টি দেখছে। এ ব্যাপারে আমি কোন ধরনের মধ্যস্থতা করতে চাই না। কমিটি যেভাবে সুপারিশ করবে সেইভাবেই হবে।