জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ শুরু হতে যাচ্ছে বুধবার (১৩ মার্চ)। আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে শিক্ষা সপ্তাহের কর্মসূচি। শিক্ষা সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘প্রাথমিক শিক্ষার দীপ্তি উন্নত জীবনের ভিত্তি’। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠান, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
প্রথম দিনে আগামী বুধবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
স্কুল পর্যায়ের কর্মসূচি:
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে স্কুল পর্যায়ে কতগুলো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে শত ভাগ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের প্রথম দিন আগামী ১৩ মার্চ বিদ্যালয় এলাকায় ব্যানার, পোস্টার ও গান-বাজনাসহ শিক্ষা র্যালি আয়োজন করতে হবে। আগামী ১৪ মার্চ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পিটিএ, এসএমসি ও বিদ্যালয় কল্যাণ সমিতি যৌথ উদ্যোগে মত বিনিময় সভার আয়োজন করতে হবে।
আগামী ১৫ মার্চ ৩য় দিনে শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে বলা হয়েছে স্কুলগুলোকে। আর ৪র্থ দিনে ১৬ মার্চ আয়োজন করতে হবে মা সমাবেশ।
আগামী ১৭ মার্চ প্রাথমিকের শিক্ষা সপ্তাহের ৫ম দিন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উদযাপনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতা ও শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। আগামী ১৮ মার্চ ৫ম দিনে শিক্ষক ও এসএমসি সদস্যের সমন্বয়ে উঠান বৈঠক করতে বলেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আর ১৯ মার্চ শিক্ষা সপ্তাহের শেষ দিনে বিগত বছরে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জনকারী মেধাবী ও প্রাথমিক বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করবে স্কুলগুলো।
স্কুল পর্যায়ের এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এসএমসি, প্রধান শিক্ষক, পিটিএ ও বিদ্যালয় কল্যাণ সমিতি এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা করবে।
উপজেলা পর্যায়ের কর্মসূচি:
আগামী ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সপ্তাহের কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি উপজেলা সদর ও থানার সুবিধাজনক স্থানে প্রচারে ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া শতভাগ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের প্রথম দিন আগামী ১৩ মার্চ উপজেলা ও থানা পর্যায়ে ব্যানার, পোস্টার ও গান-বাজনাসহ শিক্ষা র্যালি আয়োজন করা হবে। আগামী ১৪ মার্চ শিক্ষা সপ্তাহের ২য় দিনে উপজেলা পর্যায়ে মিনা কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ সপ্তাহের ৩য় ও ৪র্থ দিনে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা মেলার আয়োজন করতে হবে। সপ্তাহের ৪র্থ দিনে ১৬ মার্চ শিক্ষক সমাবেশ, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ প্রাথমিকের শিক্ষা সপ্তাহের ৫ম দিন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উদযাপনে উপজেলা শিক্ষা কমিটি কর্তৃক আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতা ও শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে নেয়া কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮ মার্চ শিক্ষা সপ্তাহের ৬ষ্ঠ দিনে শিশুদের জন্য পাপেট শো এবং ১৯ মার্চ ৭ম দিনে শিক্ষামূলক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
জেলা পর্যায়ের কর্মসূচি:
আগামী ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শিক্ষা সপ্তাহের কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি জেলা সদরে সুবিধাজনক স্থানে প্রচারে ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া শতভাগ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের প্রথম দিন আগামী ১৩ মার্চ জেলায় জেলায় ব্যানার, পোস্টার ও গান-বাজনাসহ শিক্ষা র্যালি আয়োজন করা হবে। ২য় দিনে ১৪ মার্চ জেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষার সমস্যা ও সমাধান বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হবে।
শিক্ষা সপ্তাহের ৩য় দিনে ১৫ মার্চ জেলা শহরগুলোতে শিশুদের জন্য পাপেট শো আয়োজন করতে বলা হয়েছে। আর ৪র্থ দিনে ১৬ মার্চ জেলায় জেলায় শিক্ষামূলক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
আগামী ১৭ মার্চ প্রাথমিকের শিক্ষা সপ্তাহের ৫ম দিন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উদযাপনে জেলা শিক্ষা কমিটি কর্তৃক আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতা ও শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এদিন জেলায় জেলায় ‘প্রাথমিক শিক্ষা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা ও মীনা প্রদর্শনীর আয়োজন করবে জেলা শিক্ষা কমিটি।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের ৬ষ্ঠ ও ৭ম দিনে জেলায় জেলায় শিক্ষা মেলার আয়োজন করা হবে। আর ৭ম দিনে অর্থাৎ ১৯ মার্চ শিক্ষা মেলা ও জেলার জনবহুল এলাকায় শিক্ষা মূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং জেলা তথ্য কর্মকর্তা এসব কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করবেন।
বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মসূচি:
আগামী ১৩ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শিক্ষা সপ্তাহের কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি বিভাগের সুবিধাজনক স্থানে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া শতভাগ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের প্রথম দিন আগামী ১৩ মার্চ বিভাগীয় পর্যায়ে ব্যানার, পোস্টার ও গান-বাজনাসহ শিক্ষা র্যালি আয়োজন করা হবে। ২য় দিনে ১৪ মার্চ বিভাগীয় পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষার সমস্যা ও সমাধান বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হবে।
শিক্ষা সপ্তাহের ৩য় দিনে ১৫ মার্চ বিভাগীয় পর্যায়ে শিশুদের জন্য পাপেট শো আয়োজন করতে বলা হয়েছে। আর ৪র্থ দিনে ১৬ মার্চ শিক্ষামূলক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
আগামী ১৭ মার্চ প্রাথমিকের শিক্ষা সপ্তাহের ৫ম দিন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উদযাপনে বিভাগীয় পর্যায়ে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতা ও শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এদিন জেলায় জেলায় ‘প্রাথমিক শিক্ষা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা ও মীনা প্রদর্শনীর আয়োজন করবে জেলা শিক্ষা কমিটি।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের ৬ষ্ঠ ও ৭ম দিনে বিভাগীয় পর্যায়ে শিক্ষা মেলার আয়োজন করা হবে। আর ৭ম দিনে অর্থাৎ ১৯ মার্চ শিক্ষা মেলা ও জনবহুল এলাকায় শিক্ষা মূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
বিভাগীয় কমিশনার ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন।