কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা ধরে কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার, ক্যানটিন চালু, খেলার মাঠ সংস্কার, পরিবহন ব্যবস্থা চালুসহ বিভিন্ন দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল কয়েকটি ছাত্রসংগঠন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছামতো বিভিন্ন ফি বাড়াচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার গড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ফি বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন ভুয়া ও মনগড়া খাত তৈরি করে এসব অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে আসছে না। বরং জুলুম করা হচ্ছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে, ক্লাস ও ফরম পূরণ বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। এ সময় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমাবেশে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রগতিশীল কয়েকটি ছাত্রসংগঠন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে ওই সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফটকের সামনের মীর মশাররফ হোসেন সড়কের ওপর বসে পড়েন। তাঁরা সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন।
দুপুর ১২টায় পুলিশ গিয়ে সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে। এরপর মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা কলেজের ভেতরে চলে যান।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষে ২০টি বিভাগে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। এসব শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, আগে গরিব শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারতেন। এখন কলেজ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে অর্থ আদায় করছে, যাতে কেউ কম দিতে না পারেন। অধ্যক্ষ কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো ফি নির্ধারণ করেছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অধ্যক্ষ কাজী মনজুর কাদির একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি।