ফের আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ফেসবুকভিত্তিক শিক্ষক-কর্মচারীর সংগঠনের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর সমাপনী বাজেট বক্তব্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে সুস্পষ্ট ঘোষণা না থাকলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা। ৎ
যদিও ২৭ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর দেয়া সমাপনী বক্তব্যে জাতীয়করণ কিংবা এমপিওভুক্তি সম্পর্কে কিছুই বলেননি।
তবুও, শুক্রবার (২৯ জুন)জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। একই সঙ্গে শিক্ষকরা নতুন এমপিও নীতিমালার বৈষম্যমূলক বিধান সংশোধনের দাবিও জানিয়েছেন।
ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুল হাসান সেলিম বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী তার সমাপনী বাজেট বক্তব্যে জাতীয়করণের লক্ষ্যে ঘোষণা দেবেন এবং এর আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ১৩ জুলাই সব শিক্ষক সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের লক্ষ্যে এবং জোট গঠনের জন্য গোল টেবিল বৈঠক হবে।’
আন্দোলন কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আগামী ২৩ থেকে ২৬ জুলাই প্রতিটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
এছাড়া ১৫ আগস্ট জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জোটের শরীকদের নিয়ে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও জানান ফোরামের সভাপতি।
সরকার গত ১২ জুন ‘এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০১৮’ জারি করেছে জানিয়ে সভাপতি বলেন, ‘এই কঠোর নীতিমালায় অনুযায়ী সাড়ে ৫ হাজার নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০০ প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনবল কাঠামোতে বৈষম্যমূলক ৫:২ বিধান ও অভিজ্ঞতার সীমা ৮ বছরের পরিবর্তে ১০ বছর ও ১২ বছরের পরিবর্তে ১৬ বছর করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা রাখায় শিক্ষকরা বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার হবেন। এই কালো নীতিমালা সংশোধন জরুরি।’
ফোরামের মহাসচিব মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সমাপনী বাজেট বক্তব্যে জাতীয়করণের ঘোষণা না আসলে শিক্ষকদের মহাজোট গঠন করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব জি এম শাওন, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল বাসার হাওলাদার শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতা উপস্থিত ছিলেন।