বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের স্টাডি সেন্টারটি যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে।
দীর্ঘদিন ধরে এই কেন্দ্র থেকে বছরে প্রায় শত শত ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা এসএসসি পাস করছেন। এবছর বাউবির এসএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এখনও পর্যন্ত তাদের নির্ধারিত বই না পেয়ে বই ছাড়াই ক্লাস করে চলেছেন।
শুক্রবার (১৩ই অক্টোবর) সরেজমিনে নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্টাডি সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সের শতাধিক শিক্ষার্থী এসএসসি প্রোগ্রামের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে ক্লাস করছেন।
এসএসসি প্রোগ্রামে ২য় বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান-বাড়ির সাংসারিক কাজ করার পাশাপাশি ভালো ফলাফল করতে এই সেন্টারে ভর্তি হয়েছি, কিন্তু বই ছাড়াই চলছে আমাদের ক্লাস। এসএসসি প্রোগ্রামের ২য় বর্ষে সাতটি বিষয়ের বই থাকলেও আমরা পেয়েছি মাত্র ৩টি বই।
ইতোমধ্যে বছরের প্রায় অর্ধেকটা ক্লাস সম্পন্ন হয়েছে। বাউবি নির্ধারিত ২০টি ক্লাসের মধ্যে আগামীতে চলবে আর মাত্র ১০টি ক্লাস। বছরের শেষের দিকে এসে এখনও পর্যন্ত বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
বিষয়টি সম্পর্কে স্টাডি সেন্টারে নিয়োজিত শিক্ষক এসএম ফারুক আহমেদ জানান, বাউবি কর্তৃপক্ষ এই সেন্টারে এসএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া সকল শিক্ষার্থীদের বই সরবরাহ করে থাকে। বাউবির এই নির্ধারিত বই বাজারে পাওয়া যায় না। এবছর বাউবি কর্তৃপক্ষ এই সেন্টারে ১মবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সাতটি বইয়ের মধ্যে চারটি এবং ২য়বর্ষে ভর্তি হওয়া সাতটি বিষয়ের বইয়ের মধ্যে তিনটি বই সরবরাহ করেছে। বাকি বইগুলো এখনও স্টাডি সেন্টারে এসে পৌঁছায়নি। পাঠ্যবই ছাড়াই শিক্ষকেরা ক্লাস নিচ্ছেন। বই না পেয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করলে আগামী ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাউবির যশোর আঞ্চলিক কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা জানান- স্টাডি সেন্টারে বই সরবরাহ করে থাকে বাউবির প্রধান কার্যালয়, ঢাকা থেকে। শিক্ষাবর্ষ শেষ হতে চললেও এখনও শিক্ষার্থী সিলেবাসের সিংহভাগ বই পাইনি, এটা বাউবির বই বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতি। বই বিতরণের বিষয়ে যশোর আঞ্চলিক অফিসের কিছুই করার নেই।