বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুদানে গড়া উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ সৈয়দ আহম্মদ কলেজটি শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে সরকারিকরণের দাবি তোলা হয়েছে। তবে সরকারিকরণে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে রূপ নেয়নি আজও।
কলেজটি বগুড়া জেলা সদর থেকে প্রায় ১৭-১৮ কিলোমিটার উত্তরে গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর এলাকায় অবস্থিত। প্রায় ১৫ একর (৪৪ বিঘা) জমি জুড়ে প্রতিষ্ঠিত সৈয়দ আহম্মদ কলেজটি।
বর্তমানে কলেজটিতে ১৫ বিষয়ে অনার্স ও ৭ বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। এ ছাড়াও আরও ২টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু প্রক্রিয়াধীন। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি বিএম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি ও ডিগ্রী কোর্স চালু রয়েছে।
কলেজটিতে প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। ছাত্র-ছাত্রী পরিবহনে ২২টি বাস ও ২টি মাইক্রোবাস রয়েছে। ছায়াঘেরা মনোরম পরিবেশ ও রাজনীতি মুক্ত ওই কলেজটি উত্তরবঙ্গের বেসরকারি কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম। কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা ২টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং স্কোরে কলেজটি রাজশাহী বিভাগে পরপর তিনবার ৫ম স্থানে রয়েছে। এ ছাড়াও কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (সিইডিপি) প্রকল্পে এ গ্রেডের কলেজে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যেই কলেজটি মডেল কলেজের তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও বর্তমানে উপদেষ্টা আলহাজ্ব নজবুল হক জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুদানে প্রথমে কলেজটি প্রতিষ্ঠার শুভ সূচনা করা হয়েছিল। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলেই কলেজটি সরকারি করা হলে গ্রাম-গঞ্জের খেটে খাওয়া অভাবী মানুষদের সন্তানেরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুজ্জামান জানান, বর্তমান সরকার শিক্ষা সহায়ক সরকার। রাজশাহী বিভাগের সর্ববৃহৎ সংশ্লিষ্ট কলেজটি সরকারিকরণ করা হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। এতে করে সরকারের ক্ষতি না হয়ে বরং লাভই হবে।