টুঙ্গিপাড়ায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও কবর জিয়ারত করবে নব গঠিত স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদ। আগামী ২৬ অক্টোবর সকাল ছয়টায় ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাবে কমিটির ৭১ সদস্যসহ সমমনা অন্যান্য সদস্যরা। এরপরই টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবেন তারা। সংগঠনের সদস্য-সচিব সৈয়দ জাফর আলী রোববার (২১ অক্টোবর) দৈনিক শিক্ষাকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সবাই এবং শিক্ষা ক্যাডারের বঙ্গবন্ধুর সব সৈনিকেরা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। টুঙ্গিপাড়া থেকে ফিরেই অতি শিগগিরই কমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করার চেষ্টা করবে।
বরিশালে তোপের মুখে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিসিএস সমিতির কতিপয় নেতা
দৈনিক শিক্ষার বরিশাল প্রতিনিধি সাইফুর রহমান মিরণ জানান, এখানকার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির অধিকাংশ সদস্য বিএনপি-জামায়াত সমর্থক এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে বরিশালে অনুষ্ঠিত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভায় এমন অভিযোগ করেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাধারণ শিক্ষকরা।
গত ১৪ অক্টোবর বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগের বিসিএস সাধারণ শিক্ষকদের নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ উঠেছে বরিশালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত সদস্যদের বেশিরভাগ এক সময় ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তাদের অনেকেই জামায়ত এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সভা সেমিনারে সরকার বিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত রয়েছেন।
স্বাধীনতার বিপক্ষের সদস্যদের নিয়ে সমাবেশ করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিক্ষকদের বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন সাধারণ শিক্ষকরা। এসব কারণে ১৪ অক্টোবরের সমাবেশে ঢাকা থেকে আসা সমিতির মহাসচিব সাহেদুল খবির চৌধুরীসহ সফরসঙ্গীদের বক্তব্যেও আপত্তি তোলেন সাধারণ শিক্ষকরা। এক পর্যায়ে সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। অনাকাঙ্খিত ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় সেদিনের সমাবেশ।
ব্রজমোহন কলেজের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে কয়েক মাস আগে। ওই কমিটির বেশিরভাগ সদস্য বর্তমান সরকার বিরোধী। ওই কমিটির মহাসচিবসহ নেতারা গত ১৪ অক্টোবর বরিশালে সাংগঠনিক সফর করেন। সভায় সরকার বিরোধী আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিক্ষকরা। অনেককে বক্তব্যের মধ্যেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এসএ কাইউমউদ্দিন আহম্মেদ দৈনিক শিক্ষকে বলেন, ওই দিনের সভায় আমাকে কেবল শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক হিসেবে শুভেচ্ছা দেওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিক্ষকরা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাননি। এক পর্যায়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এদিকে আজ রোববার দুপুরে বরিশালে স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে খুলনার সুন্দরবন কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নামে বরিশালে যে সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছে তার কোন বৈধতা নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সঙ্গে যুক্তরা সরকার বিরোধীই নয়, এরা বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিরোধীও। আমরা আর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি নিয়ে কোন কমিটি করবো না। তাই স্বাধীনতা বিসিএস শিক্ষা সংসদ নামে কেন্দ্রীয় কমিটি হয়েছে। আমরা অঞ্চল ভিত্তিক ওই আদলে কমিটি গঠন করবো। দক্ষিণাঞ্চলে সেই কাজ শুরু হয়েছে।