বরগুনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাতেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দরকার - দৈনিকশিক্ষা

বরগুনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাতেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দরকার

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইত্তেফাকের সকল পাঠককে ঈদ মোবারক জানাই। এই ঈদ শুধু পশু কোরবানির নয়, মনের পশু কোরবানিরও। আমাদের দেশে ও সমাজে মনের পশুরও সংখ্যা বাড়ছে। তার একটি প্রমাণ ফেনীর নুসরাত এবং বরগুনার রিফাত হত্যাকাণ্ড। এই রকম ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা বাংলাদেশে অহরহই ঘটছে। মিডিয়াতে তা আসে না বলে জনসমাজেও তা গুরুত্ব পায় না। নরপশুরা শাস্তি এড়ায়। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। রোববার (১১ আগস্ট) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।

ফেনীর সোনাগাজির নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার নৃশংস ঘটনাটি স্থানীয় থানা-পুলিশ, সমাজপতিরা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নরপশুদের রক্ষায় চেষ্টা করেছিল। পারেনি। কারণ, এই বর্বরতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল এবং তার কড়া নির্দেশে পুলিশ অন্য কিছু করার সাহস পায়নি। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতাও এই অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার এড়াতে পারেননি। নুসরাত হত্যার ব্যাপারে দেশের মিডিয়াও এমন শোরগোল তুলেছিল যে অপরাধীচক্র প্রভাবশালীদের পৃষ্ঠপোষকতা সত্ত্বেও বিচার এড়াতে পারেনি।

অভিযোগ, বরগুনার রিফাত হত্যার ঘটনাটিরও মোড় ঘুরাবার চেষ্টা করেছে স্থানীয় পুলিশ, পুলিশ কর্মকর্তা, একটি ড্রাগ সিন্ডিকেট, এমনকি এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ‘সুপুত্র’ সুনাম দেবনাথও। বরগুনার সঙ্গে আমার বহুদিনের সম্পর্ক। বহুবার বরগুনায় গেছি। বরগুনার কাছেই আমার শ্বশুর বাড়ি। ফলে বরগুনার রাজনীতির সঙ্গে আমার অল্পবিস্তর জানাশোনা আছে। তার ফলে আমি জানতে পেরেছি, শম্ভুনাথ বাবু লোক ভালো কিন্তু তার পুত্রটি সর্বগুণে গুণান্বিত ধোয়া তুলসি পাতা।

বরগুনার এই ঘটনা নিয়ে ইতিপূর্বে আমিও ঢাকার অন্য একটি দৈনিকে ‘মিন্নি যেন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শাস্তি না পায়’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ লিখেছি। কারণ, মিডিয়ার খবর পড়ে এবং বরগুনায় আমার বন্ধুবান্ধবের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি নামের এক তরুণী গৃহবধূকে তার স্বামীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে এক শক্তিশালী মাফিয়া চক্রকে রক্ষা করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র যদি সফল হয়, তাহলে সারা দেশে মাদক সিন্ডিকেটের তাণ্ডব, নারী নির্যাতন পাকিস্তানের নারী নির্যাতনের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

পাকিস্তানে এখন নারী ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও নারী হত্যা চরমে পৌঁছেছে। সিন্ধু প্রদেশে এক শ্বশুর তার পুত্রের বাড়িতে অনুপস্থিতিতে পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেছে। এই অপরাধে শ্বশুরের কোনো শাস্তি হয়নি। মোল্লাদের ফতোয়া অনুযায়ী গৃহবধূকে নগ্ন করে একশ দোররা মারা হয়। ফলে হতভাগ্য তরুণীর মৃত্যু হয়। পাঞ্জাবের শিয়ালকোটে ঘটে আরো মর্মান্তিক ঘটনা, যে ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের বরগুনার ঘটনার মিল আছে। পাকিস্তানের তত্কালীন শাসকদলের এক এমপির পুত্র এক কলেজ ছাত্রীকে খারাপ প্রস্তাব দেন। কলেজ ছাত্রী তা প্রত্যাখ্যান করে।

ঘটনাটির এখানেই শেষ নয়। অতঃপর কলেজ ছাত্রীর বিয়ে হলে তার স্বামীকে হত্যা করে ছাত্রীটিকে তার স্বামীর হত্যাকাণ্ডে জড়ানো হয়। পুলিশ তার ওপর শারীরিক অত্যাচার চালিয়ে তার কাছ থেকে স্বামী হত্যার একটি স্বীকারোক্তি আদায় করে। যেমন বরগুনায় আদায় করা হয়েছে মিন্নির কাছ থেকে। এখানেও পুলিশ তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে এই স্বীকারোক্তি আদায় করেছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছে মিন্নি। পাকিস্তানে ঐ কলেজ ছাত্রীকে মিথ্যা সাক্ষীর ওপর নির্ভর করে ১৪ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছিল। আমার আশা, বাংলাদেশের মিন্নিকে বিচার প্রহসনে এই ধরনের শাস্তি দেওয়া যাবে না। কারণ, পুলিশের কারসাজি এবং প্রভাবশালী চক্রের ষড়যন্ত্র ইতিমধ্যেই ফাঁস হতে শুরু করেছে।

বরগুনা হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ এখানে লেখার প্রয়োজন নেই। মিডিয়ায় খবরটি গুরুত্ব পেয়েছে এবং সংবাদপত্র পাঠকদের অধিকাংশেরই খবরটি জানা। বরগুনায় নয়ন বন্ড এবং তার বন্ধুদের সমবায়ে একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র গড়ে উঠেছিল। এই নয়ন বন্ডই মিন্নির স্বামী রিফাত শরিফকে সর্বজনসমক্ষে কুপিয়ে হত্যা করে।

মিন্নি তাকে বাঁচাতে গিয়েও বাঁচাতে পারেনি। পরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বরগুনা ত্রাস নামে পরিচিত নয়ন বন্ড মারা যায়। বন্ড ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে (যারা সকলেই ক্ষমতাশালী মহলের স্বজন অথবা আত্মীয়) যে হত্যা মামলা হয়, তার প্রধান সাক্ষী করা হয় আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে।

তারপরই রহস্য নাটকের সূচনা। মিন্নিকে আসামি শনাক্তকরণের নামে থানায় ডেকে নিয়ে এগারো-বারো ঘণ্টা ধরে জেরা এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর তার কাছ থেকে স্বামী হত্যায় জড়িত ছিল এই মর্মে একটি স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। এখন সে তার স্বামী হত্যার মামলায় এক নম্বর সাক্ষী নয়, আসামি। তাকে অত্যাচার করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে এ অভিযোগ পাবার পরেও আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জামিন দেননি। মামলার প্রথম দিন স্থানীয় কোনো আইনজীবী প্রভাবশালীদের ভয়ে মিন্নির পক্ষে আদালতে দাঁড়াতে সাহস পাননি।

ঢাকার কাগজে এই খবরটা পড়ার পরই আমার মনে হয়েছিল এটি কোনো সাধারণ হত্যার ঘটনা নয়। ডাল মে কুচ কালা হায়। বরগুনায় আমার আত্মীয়স্বজন এবং বিশেষ করে এক সাংবাদিক বন্ধুর (তিনিও আমাকে নাম গোপন রাখতে অনুরোধ করেছেন কারণ সত্য প্রকাশে তিনি ভীত) কাছে জানতে পারি, রিফাত শরিফকে হত্যা এবং তার স্ত্রী মিন্নিকে এই মামলায় ফাঁসানো একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ড্রাগস সিন্ডিকেটের কাজ। এই সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক স্থানীয় থানা পুলিশ, এমপি-পুত্র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের আপনজন এবং জেলার এসপিও।

আরো কিছু ঘটনায় বুঝতে পারি এটি একটি স্থানীয় ঘটনা নয়, এটা অবৈধ মাদক ব্যবসা নিয়ে দেশময় যে জাতীয় সংকট মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, তার সঙ্গে জড়িত ঘটনা। প্রায়শ এই মাদকদ্রব্যের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যদের পুলিশ বা র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার খবর কাগজে বের হয়। বরগুনার ঘটনাটিই প্রমাণ করে, এই মাদক ব্যবসায়ী মাফিয়া গোষ্ঠী দমনে সরকার যেখানে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে সরকারের দল ও প্রশাসনের এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তির আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়েই এই মাফিয়া গোষ্ঠী দেশময় এমন বেপরোয়া হয়ে উঠতে পেরেছে।

বরগুনা হত্যাকাণ্ডটি তাই একটি স্থানীয় ঘটনা হিসেবে উপেক্ষা না করে বৃহত্তর জাতীয় সংকটের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে তার প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। নইলে এক স্থানে মাফিয়া গোষ্ঠী ও তার ক্ষমতাশালী প্রভুরা তাদের ষড়যন্ত্র সফল করতে পারলে দেশের অন্যস্থানে তাদের সহযোগীরা উত্সাহিত হবে। তাদের দমন করা যাবে না।

বরগুনায় রিফাত হত্যার পর যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তা লক্ষ্য করলেই একটি বালকেরও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, এটা অত্যন্ত সাজানো নাটক এবং এই নাটকের কুশীলবেরা অত্যন্ত কাঁচা কাজ করেছেন। মিন্নি একজন অসহায় গৃহবধূ। পুলিশ তাকে হত্যাকাণ্ডের আসামি বানিয়ে প্রথমেই জেলে পুরেছে। তার শ্বশুর পর্যন্ত তার প্রতি বৈরী হয়ে গেছেন। বন্দুকযুদ্ধে নিহত বন্ডের মাও মিন্নির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন। পুলিশও তার বৈরী।

এই অবস্থায় মিন্নিকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি তুলে কি রাস্তায় মানববন্ধন করার দরকার পড়ে? এই মানববন্ধনটি করানো হয়েছে মিন্নির শ্বশুরের দ্বারা এবং তাতে বেশি হইচই করতে দেখা গেছে এমপি শম্ভু বাবুর পুত্র সুনাম দেবনাথকে। কারণটা কী? জেলার এসপি মারুফ হোসেনের সঙ্গে এই ঘটনা নিয়ে তিনি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এতো দেখছি, মশা মারার জন্য কামান দাগার আয়োজন।

আরো একটি মজার ব্যাপার। বরগুনা থেকে কে বা কারা আমাকে একটি ভিডিও ক্যাসেট পাঠিয়েছেন। তাতে দেখা যায়, এক যুবক চিত্কার করে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে বেশ্যা, দুশ্চরিত্রা, স্বামী হন্তা ইত্যাদি গালি দিয়ে তার বিচার ও শাস্তি দাবি করছে। অর্থাত্ মিন্নির বিচারের আগেই তাকে লিংচিংয়ে হত্যা করার প্ররোচনা।

এই ভিডিও ক্যাসেটে মিন্নি যে দুশ্চরিত্রা, তা প্রমাণের জন্য কিছু ছবি যোগ করা হয়েছে। ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায় ছবিগুলো জোড়াতালি দেওয়া, মন্টেজ করা ছবি। পরে খবরেও তা বলা হয়। এই ভিডিও ক্যাসেট প্রচারের উদ্দেশ্য এবং কারা তা করেছে তার খোঁজ নিলেই দেখা যাবে, মিন্নিকে ফাঁসানোর জন্য একটি শক্তিশালী মহল কাজ করছে।

বরগুনায় এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ঢাকায় একটি দৈনিকে ‘মিন্নি যেন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শাস্তি না পায়’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ লিখি। তার পরই বরগুনা থেকে এক ব্যক্তি তার পরিচয় না জানিয়ে টেলিফোনে আমাকে বলেন, ‘এমপি শম্ভু বাবু অত্যন্ত ভালো লোক। এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। আমি যেন তার বিরুদ্ধে কিছু না লিখি।’ আমি তাকে বলেছি, শম্ভু বাবু যদি এতই ভালো লোক হবেন, তাহলে তার পুত্র সুনামের সুনাম রক্ষা করতে পারছেন না কেন?

বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি সম্প্রতি ঢাকার একটি কাগজে বরগুনার ঘটনা নিয়ে ‘বিচারের বাণী নীরবে কাঁদার জন্য নয়’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ লিখেছেন। বিচারক হিসেবে অবসর নেওয়ার পরেও বরগুনার ঘটনার মতো একটি ঘটনার প্রতি তিনি যে বিচারকের প্রাজ্ঞ দৃষ্টি রেখেছেন এবং প্রকৃত অপরাধীদের মুখোশ খুলে দিয়ে এক অসহায় গৃহবধূকে রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন, তা বিচারক হিসেবে তার বিবেক-বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়।

তিনি রাখ-ঢাক না করে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ অবৈধ মাদক ব্যবসা। নয়ন বন্ড বহু বছর ধরে মাদক ব্যবসায়ের গডফাদার হিসেবে ব্যবসা চালিয়ে গেলেও সে ছিল পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ, এমপি পুত্র সুনাম দেবনাথ সবসময়েই তাকে রক্ষা করে আসছে এবং এই রক্ষাকার্যে জেলার এসপি মারুফ হোসেনেরও বড় ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুদ্ধ ঘোষণার পরও নয়ন বন্ড এবং তার সহযোগীরা পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।

বরগুনার ঘটনায় বিচারের বাণী যাতে নীরবে নিভৃতে না কাঁদে সেজন্য বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মামলাটি বরগুনা থেকে অন্য কোনো জেলায় সরিয়ে আনার অথবা সরাসরি শুনানির জন্য হাইকোর্টে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন। আমি তার প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত পোষণ করি। সেই সঙ্গে এই হত্যা মামলাটির দিকে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করি। তিনি ফেনীর নুসরাত হত্যাকাণ্ডের মতো যদি বরগুনার রিফাত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারেও কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেন এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারে যাতে কোনো অন্যায় অনিয়ম না হয় তা দেখার নির্দেশনা দেন, তাহলে নির্দোষ ব্যক্তি রক্ষা পাবে এবং প্রকৃত দোষী ব্যক্তিরা সাজা পাবে। অবৈধ মাদক ব্যবসায়ের নেপথ্যের গডফাদারদেরও একটা বড়ো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0069777965545654