এক ব্যতিক্রমী গায়ে হলুদের স্বাক্ষী হয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। হঠাৎ করেই ক্যাম্পাসের লেক পাড়ে সবাইকে অবাক করে শুরু হলো গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা একে একে নিয়ে আসলো বাঁশের ডালা, কুলা, চালুন ও মাটির সরা, ঘড়া, মটকা। মুহূর্তেই তৈরি হয়ে গেল গায়ে হলুদের মঞ্চ। একটু পরেই বর-কনে উপস্থিত। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা অন্যান্য দিনের মতো বিকাল বেলাতে আড্ডা দিতে আসলেও এদিন আর হয়নি। সকলের চোখ এবং মন চলে যায় গায়ে হলুদের মঞ্চে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের গায়ে হলুদের আয়োজন হয়েছে তাদের ক্যাম্পাসেই।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক পাড়ে একদল তরুণ-তরুণীর হলদে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে মুখর হয়ে উঠেছিলো শিক্ষাঙ্গন। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী জুয়েল এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশার গায়ে হলুদের এই আয়োজন সবার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকল।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, গায়ে হলুদের এ আয়োজন বর এবং কনের পরিবারের লোকজন কেউ করেনি। বিয়ের অনুষ্ঠানে সব বন্ধুরা উপস্থিত থাকতে পারবে না বলেই ক্যাম্পাসে সকলের উদ্যোগে এমন ভিন্নধর্মী গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে।
চিরাচরিত গায়ে হলুদের নিয়মের মতই হলুদ, মেহেদি মাখিয়ে সম্পূর্ণ করা হয়েছে সকল আনুষ্ঠানিকতা। হলুদে তাদের বন্ধুরাসহ অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের খবরে সরগরম ছিলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সাইটগুলো।
কনে আশার কাছে ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদ আয়োজনের অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে কখনও ভাবিনি। আমি অনেক বেশি আনন্দিত। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
এ ভিন্নধর্মী আয়োজন নিয়ে আশার বন্ধু রাফি জানান, বিয়েতে সবার পক্ষে আশার বাড়িতে যাওয়া সম্ভব না। তাই বান্ধবীর বিয়েতে মজা করার জন্য ক্যাম্পাসে এই হলুদের ব্যতিক্রমী আয়োজন। আমরা সব বন্ধু-বান্ধবীরা মিলে এই আয়োজন করেছি, এই আয়োজনে আমাদের বিভাগের সকল সিনিয়র এবং জুনিয়ররা সহযোগিতা করেন।