গাজীপুরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের সামনে এক অভিভাবক এবং বিদ্যালয় ক্যান্টিনের দুই কর্মচারীকে আটকে বেধড়ক মারধরের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মারধরে অভিভাবকের হাত ও কোমরের হাড় ভেঙে গেছে। পাঁজরের হাড়ে ফাটল ধরেছে। লাঠির আঘাতে শরীর ফেটে মোটা লাল দাগ বসে গেছে।
গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয়ে। আহত অভিভাবক আবদুর রাজ্জাককে (৫৫) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা জামানত ও মাসিক ২৫ হাজার টাকায় তিন বছরের জন্য স্কুলের ক্যান্টিন ভাড়া নেন। চুক্তির মেয়াদ এখনো ছয় মাস বাকি। গত ১৬ জুলাই মোবাইলে ফোন দিয়ে তাঁকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নেওয়া হয়। তিনি পলাশ নামে একজন ব্যবসায়ীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গেলে তিন-চারজন যুবক মিলে ‘তুই কমিটির সভাপতিকে গালাগাল করিস, এত বড় সাহস তোর’ বলেই কোনো কিছু বোঝার আগে লাঠি নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় স্কুল পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হালিম সরকার উপস্থিত ছিলেন। এলোপাতাড়ি লাঠির আঘাতের একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
প্রধান শিক্ষকের কক্ষে দরজা বন্ধ করে নির্মমভাবে যখন তাঁকে পেটানো হয় তখন সেখানে আহ্বায়ক ছাড়াও পাঁচ-সাতজন ছিলেন। বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীসহ কয়েকজন শিক্ষকও উপস্থিত ছিলেন। পরে শুনেছেন সঙ্গে যাওয়া ব্যবসায়ী পলাশ তাঁকে উদ্ধার করেন। তিনি হামলার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
সুস্থ হলে থানায় মামলা করবেন। পরে শুনেছেন একই দিন তাঁর ক্যান্টিনের দুই কর্মচারী জিয়ান (১০) ও ম্যানেজার রজব আলীকে মারধর করে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে বাসন থানার পুলিশ রাত ১১টার দিকে তাদের স্কুল থেকে উদ্ধার করে।
ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক আরো জানান, ওই স্কুলে তাঁর এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে এবং ছেলে কলেজ শাখায় একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। এ ঘটনার পর ভয়ে তার সন্তানরা বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।