বাংলাদেশহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফলাফলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ও এবং এ লেভেলের শিক্ষার্থীদের সংশোধিত নতুন ফল প্রকাশ করল ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল। সংশোধিক ফলাফলে প্রতিষ্ঠানের পাঠানো গ্রেড অনুসারেই শিক্ষার্থীদের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে করোনায় পরীক্ষা না নিয়ে বিশ্বব্যাপী শিক্ষকদের সহায়তায় গ্রেডিং করা নিয়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়া অসন্তোষের সমাধান হলো।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল তাদের ওয়েবসাইটে সংশোধিত নতুন ফল ঘোষণা করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও গ্রিন জেমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন বলেন, ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল আশ্বাস দিয়েছিলো পুনরায় গ্রেড দেয়া হবে। শুক্রবার সংশোধিত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবর্তিত গ্রেড স্কুলের দেয়া গ্রেডের অনুসারেই হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখন খুশি।
করোনাভাইরাসের কারণে এবার পরীক্ষা ছাড়াই গ্রেড ছাত্র-ছাত্রীদের নির্ধারণের জন্য ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনালের কাছে একটি প্রস্তাবিত ফল পাঠিয়েছিল স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী ফল, শিক্ষকদের প্রস্তাবিত ফলসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে চলতি বছরের জুন সিরিজের মূল্যায়ন করা হয়।
এর আগে গত ১১ আগস্ট বিশ্বব্যাপী চলতি বছরের জুন সিরিজের ফল প্রকাশ করে ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল। তবে করোনার কারণে পরীক্ষা না নিয়ে বিশ্বব্যাপী শিক্ষকদের সহায়তায় গ্রেডিং করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল ক্যামব্রিজ। যেখানে প্রতিষ্ঠানের পাঠানো ফল থেকেও ঘোষিত ফলাফলে অনেকের গ্রেড কমে যায়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যামব্রিজ জানিয়েছিল, এক সঙ্গে ১৩৯টি দেশের চার হাজার স্কুলের ৯ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি গ্রেড ইস্যু করা হয়েছে। ক্যামব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক মহেশ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ একটি সংকটময় বছর হিসেবে পরিণত হয়েছে। যার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বের শিক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থার উপর। বিশ্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় কেমব্রিজ শিক্ষার্থীরা তাদের জুন সিরিজের পরীক্ষা দিতে পারেনি। যার কারণে আমরা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে গ্রেড প্রদানের জন্য একটি কঠোর প্রক্রিয়া তৈরি করেছি। পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে আমরা স্কুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি এবং আমাদের গ্রেডিং পদ্ধতিটি সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করেছি।
তবে ফল প্রকাশের পর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও আপত্তি তুলেছেন, তাদের নিচের গ্রেড দেয়া হয়েছে। আগের সিরিজে যে ফল ছিল এখন অজানা কারণে তার থেকেও খারাপ ফল দেয়া হয়েছে। অনেকের আবার ধারণা ফল আগের তুলনায় ফল হয়েছে। ফল প্রকাশের পর থেকেই সানিডেল, স্কলাস্টিকা, এসএফএক্স গ্রিন হেরাল্ড, টার্কিশ হোপ ইন্টারন্যাশনালসহ ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনালের অধীন দেশের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আপত্তি উঠেছে ফল আগের তুলনায় খারাপ হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী অভিভাবকরা তাদের অভিযোগের বিষয়ে কোন সদুত্তর পাচ্ছিলেন না স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। এমন অবস্থায় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রতিবাদ শুরু করেন। এমন অবস্থার মধ্যে ফলাফল পুনরায় নতুন গ্রেড করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল। পরিবর্তিত গ্রেড স্কুলের দেয়া গ্রেডের চেয়ে কম হবে না বলে আগেই জানিয়েছিল ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল।