জানা গেছে, দেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। করোনাকালে যত্নের অভাবে আরো জরাজীর্ণ হয়েছে ভবনগুলো। অনেক সময় ছাদের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, ক্লাস চলাকালে পলেস্তারা খসে শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। করোনার আগে অধিক ঝুঁকি থাকার কারণে অনেক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির সময় ঝুঁকি না নিয়ে অনেক স্কুল ছুটি দিতে দেখা গেছে। নদীভাঙন, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস কিংবা জলবদ্ধতার কারণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক বিদ্যালয়-ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হবার প্রধান কারণ কাজে ফাঁকি দেওয়া। কিছু ঠিকাদার অতি মুনাফার লোভে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভবন নির্মাণ করে।
দুর্নীতির কারণে ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ভবনগুলো ভেঙে ফেলতে হচ্ছে। বর্তমানে টেকসই উন্নয়ন কৌশল হাতে নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে সংস্কার অথবা নতুন ভবন নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। আমরা চাই—শিশুর নিরাপত্তা দিতে উন্নয়নমূলক কাজ যেন স্বচ্ছ ও মানসম্মত হয়।
লেখক : জয়নুল আবেদীন স্বপন, শ্রীপুর, গাজীপুর