যুক্তরাজ্য থেকে থেকে পাঁচটি বিমানের মধ্যে তৃতীয় সি-১৩০জে বিমানটি ঢাকায় এসেছে। যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিজস্ব বৈমানিক ফেরি ফ্লাইটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে অবতরণ করেছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এ মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. আহসানুর রহমান, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জিডি(পি)। যাত্রাপথে বিমানটি কায়রো (মিশর) ও মাসকাট (ওমান) এ অবতরণ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে অত্যন্ত সচেষ্ট। তারই ধারাবাহিকতায়, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক ৫টি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ার ফোর্সের সাথে ক্রয় চুক্তি এবং মার্শাল এ্যারোস্পেস এন্ড ডিফেন্স গ্রুপের সাথে রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে সংযোজনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে ঐতিহ্যগত রীতি মোতাবেক বিমানটিকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এসময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার হাই কমিশনার চ্যাটার্টন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল এম আবুল বাশার।
সি-১৩০জে পরিবহন বিমান অত্যাধুনিক এভিওনিক্স ও উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন পরিবহন বিমান যা মালামাল ও সৈন্য পরিবহনসহ দেশে এবং বিদেশে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহৃত হবে।
আইএসপিআর জানায়, ক্রয়কৃত অবশিষ্ট বিমানগুলো পর্যায়ক্রমে যুক্তরাজ্য হতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক এই সি-১৩০জে বিমানের অন্তর্ভুক্তি, বিমান বাহিনীর পরিবহন ক্ষমতা সর্বোপরি বাহিনীর সক্ষমতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে।