পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যাসমূহ আগামী দশ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রীর দপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সমস্যা, ট্রান্সপোর্ট সমস্যা, ইন্টারনেট সমস্যা, পরীক্ষায় কোডিং
সিস্টেম চালু করা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, কেন্টিনের সমস্যা, খাবারের সমস্যা, লাইব্রেরির সমস্যা, নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধীরগতি এবং বিভিন্ন বৈষম্যমূলক দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় আগামী দশ দিনের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো লিখিতভাবে জানানোর জন্য ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়া আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি, প্রো-ভিসিসহ উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের সাথে সভা করবেন বলে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাদের আশ্বাস্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৈাধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে
শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষার গুণগত উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুবই জরুরী। শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভুমিকা রাখাতে ছাত্রলীগ নেতাদের আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। এসময় যেকোন সমস্যায় প্রশাসনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট না করতে ছাত্র নেতাদের আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাঙ্গনে
মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে হবে। শিক্ষকদের দলাদলিতে ছাত্র নেতাদের না জড়াতেও নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ছাত্রদের প্রধান কাজ হল লেখাপড়া করা এবং অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে
নিজের ক্যারিয়ার ও বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখা। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন আছে, এই আইনের মধ্যে থেকে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্রদের দাবি আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালনের পাশাপাশি শিক্ষকদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে ছাত্রলীগকে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক সময় তাদের স্বায়ত্বশাসনের অপব্যাবহার করা হয়। ছাত্র রাজনীতিতে জড়িতেদের কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।