পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় শতাধিক কাঁচা ও টিনের বাড়িঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপরে গেছে কয়েক হাজার গাছপালা।
লন্ডভন্ড হয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার হেক্টর জমির থোর আসা আমন ধান। নষ্ট হয়েছে ঘের ও উচু জমির শাক-সবজিও। বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে ও তার ছিড়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
ভারি বর্ষণ আর স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে চর ও নিম্নাঞ্চল। তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন রোধে নদীপাড়ের বাঁধে ফেলা জিও ব্যাগের অধিকাংশ চলে গেছে নদী গর্ভে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এই মুহুর্তে সঠিক হিসেব করা না গেলেও প্রাথমিক ভাবে ৩৬ হাজার ১৯০ হেক্টর জমির থোর আসা আমন ধানের প্রায় পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কথা জানা গেছে।
এর মধ্যে ১০ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের পাকা ও আধাপাকা আমনের ক্ষতি কিছুটা কম হলেও থোর আসা আমন ধানের চিটার পরিমান বাড়বে। ঘের ও উচু জমিতে থাকা শাকসবজি নষ্ট হয়েছে পরোপুরি।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বিভিন্ন চরের অর্ধশতাধিক কাঁচা ও টিনের তৈরি বসতঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমন ফসলের ক্ষেত। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও চালা উড়িয়ে নিয়ে ক্ষতি হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে চর ও নিম্নাঞ্চল।
বুলবুলের তান্ডবে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে যাওয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় লাইন ছিড়ে ব্যাপক ক্ষতির কথা জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুতের বাউফল জোনাল অফিসের কর্মকর্তারা।