চরফ্যাশনের পৌর সদরসংলগ্ন পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক (সপ্রাবি) বিদ্যালয়ে পাঁচজন করে শিক্ষক কর্মরত আছেন। শিক্ষকের কোনো পদ শূন্য নেই। আছে দৃষ্টিনন্দন ভবন, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র ও অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী। নেই শুধু শিক্ষার্থী। প্রতিদিন বিদ্যালয়গুলোতে ৫-১০ জনের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত হয় না। স্কুল চলাকালে বেশিরভাগ শ্রেণি থাকে শিক্ষার্থীশূন্য।
চরফ্যাসন পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে পৌর বালিকা সপ্রা বিদ্যালয়ের অবস্থান। সড়কের পশ্চিম পাশ লাগোয়া পৌর বালিকা সপ্রাবি এবং পূর্বপাশ লাগোয়া চরফ্যাসন মডেল সপ্রাবি। পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয়ের মধ্যে মডেল সপ্রাবি শিক্ষার্থীদের কোলাহলমুখর; কিন্তু শিক্ষার্থীশূন্য ৬২নং চরফ্যাসন পৌর বালিকা সপ্রাবি।
কেন এ শূন্যতা- এমন প্রশ্নের উত্তর কারও জানা নেই। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দক্ষিণদিকে সর্বোচ্চ এক কিলোমিটারের মধ্যে দুলারহাট সড়কের পাশে বৃক্ষতলা সপ্রাবি। কাগজে-কলমে এই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ জন দেখানো হলেও বিদ্যালয়ে গিয়ে পাঁচজন শিক্ষকের সবাইকে দেখা গেছে কিন্তু শিক্ষার্থী ছিল মাত্র ছয়জন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে আমিনাবাদ সড়কের দক্ষিণ পাশ লাগোয়া এ বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষকের সবাই আছেন। কাগজে-কলমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩৩ হলেও শ্রেণিগুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়নি। বৃক্ষতলা সপ্রাবি এবং কলেজপাড়া আনসারিয়া সপ্রাবির মধ্যবর্তী এলাকায় পশ্চিম জিন্নাগড় সপ্রাবি। কাগজে- কলমে বিদ্যালয়টিতে ১৩৫ শিক্ষার্থী দেখানো হলেও তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাসে মাত্র দু'জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে উত্তর দিকে কোস্ট অফিস সড়কের উত্তর পাশে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড সপ্রাবি। কাগজে-কলমে পাঁচ শিক্ষকের এই বিদ্যালয়ে ১৪২ শিক্ষার্থী দেখানো হলেও কোনো শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৃষিত কুমার চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষার্থী সংকটের মধ্যে আছে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শিগগির পরিস্থিতির উন্নতি না হলে কর্মরত শিক্ষকরা দায় এড়াতে পারবেন না।