ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের পণ্ডিতপুর কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (২য় পর্যায়ে জাতীয়করণকৃত) ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ ও বেতন-ভাতা প্রদানের বিরুদ্ধে দুদকের কাছে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
অভিযোগে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অজ্ঞাত কারণে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ভুয়া নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নামে ৩৮ লাখ টাকা বেতন-ভাতা অনুমোদন করেন। এতে করে স্থানীয় ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাসহ অভিজ্ঞ মহলে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, বিদ্যালয়ে ভুয়া নিয়োগকৃত শিক্ষক এবং ভুয়া চালুকরণ ও বেতন-ভাতা নিয়োগ আদেশ বাতিল করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য একাধিকবার মন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর ডিও লেটার প্রদান করেছেন। পরে মন্ত্রী ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ অক্টোবর ৬৭৩নং স্মারকে অতিরিক্ত সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিত আকারে জানালেও তিনি তা আমলে নেননি। অথচ ৭ মে ২০১৪ ও ১০ মে ২০১৬ তারিখে উপজেলা পরিষদের সভায় ওই বিদ্যালয়ের নামে ভুয়া নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দুটি রেজুলিউশনও করা হয়েছে। এছাড়া মহামান্য হাইকোর্টে ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ৬৭৩/২০১৯নং একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে এবং তা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এরপরেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী রিট পিটিশনের বিষয়টি এড়িয়ে চলে ভুয়া নিয়োগপ্রাপ্ত ৪ জন শিক্ষকের নামে ৩৮ লাখ টাকার বিল ভাউচার অনুমোদন করেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ও আনোয়ারুল হক জানান, ওই শিক্ষা অফিসার ইতোপূর্বে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা থাকাকালীন ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করায় নান্দাইলে বদলি হয়ে এসেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী জানান, তার দপ্তরে বিলটি আট মাস ধরে আটকা ছিল। যেহেতু ডিজি মহোদয় বিল ছাড় করেছেন তাই আমি বিল অনুমোদন প্রদান করেছি।