টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০ম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রী। জয়নাল ওরফে সাইদুল (৩০) ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে সারারাত আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে সাইদুলকে গ্রেফতার করে। সাইদুল ঘাটাইল উপজেলার নলছোপা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে এবং সে বিবাহিত।
জানা গেছে, জয়নাল ওরফে সাইদুলের সাথে মাস তিনেক আগে ওই মাদরাসা ছাত্রীর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিজের বিয়ের বিষয়টিও গোপন রাখে সাইদুল। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে টাঙ্গাইল কোর্টে বিয়ের করার আশ্বাস দিয়ে গত ৯ ই ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে সাইদুল। ওইদিন কোর্ট বন্ধ থাকায় সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় তারা। স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় রবিবার কোর্টে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে মেয়েটি নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় সাইদুল। পরের দিন বিয়ে না করে সাইদুল মেয়েটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি গিয়ে মেয়েটি তার মা-বাবাকে ঘটনার বিস্তারিত জানায়।
মেয়ের পিতা বাদী হয়ে জয়নাল ওরফে সাইদুলকে একমাত্র আসামী করে বৃহস্পতিবার রাতে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করে। শুক্রবার সকালে পুলিশ ভূঞাপুর বাজার এলাকা থেকে সাইদুলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়ার পর সে পুলিশের কাছে ও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এব্যাপারে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো.রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘সাইদুল বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তা গোপন করে মেয়েটিকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রাতভর তাকে ধর্ষণ করে। মেয়ের বাবার করা মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’