ঈশ্বরগঞ্জে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক।
উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারে দাওসুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করে মো. কেফায়েতুল্লাহ। সে নান্দাইলের কাদিরপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।
মাদরাসার নাজারা বিভাগের ১১ বছর বয়সী ছাত্রকে গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষক কেফায়েতুল্লাহ অফিস কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে কেফায়েতুল্লাহ ছাত্রটিকে বলাৎকার করে। ওই সময় শিশুটিকে ভয় দেখিয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে দেয়া হয়। পরদিন সকালে ছাত্রটি তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছে বিষয়টি জানায়। ওই অবস্থায় ছাত্রটির বাবা মাদরাসায় গিয়ে ঘটনার বিচার চান। এ নিয়ে সালিশ মীমাংসার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু শিক্ষক কেফায়েতুল্লাহ এর আগেও এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটানোর পর সালিশে মিটমাট করে দিলেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ওই অবস্থায় ছাত্রটির বাবা শুক্রবার রাতে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। পুলিশ রাতেই মামলাটি নথিভুক্ত করে। পরে শনিবার ছাত্রকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে ও জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই আবদুল করিম বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।