ওসমানীনগরে পুলিশের সহায়তায় এক মাদরাসা শিক্ষকের বসতভিটা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে, বসতভিটা রক্ষায় পুলিশকে ফোন করে ঘটনাস্থলে নিলেও পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ভুক্তভোগীকে তার স্বজনসহ থানায় এনে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিক্ষকের বসতঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে সব জিনিস সরিয়ে বসতভিটা দখলে নেয়া হয়।
তাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব রুকনপুর গ্রামের মদিনাতুল উলুম বড় দিরারাই মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা লেপাসের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রভাবশালী মিজানুর রহমানের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবার দুপুরে ভাড়া করা লোকজন ওই শিক্ষকের বসতঘর ভাংচুর করে জায়গা দখলের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন। বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাংচুরকারী দু'জনকে আটক করে।
এ সময় মামলা দায়েরের কথা বলে শিক্ষক লেপাস, সাক্ষী হিসেবে তার ভগ্নিপতি খালিক মিয়াসহ তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ পথিমধ্যে ভাংচুরকারী একজনকে এবং থানায় আসার পর অন্যজনকে ছেড়ে দেয়। পরে ২৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে লেপাসসহ থানায় আসা তার স্বজনদের আসামি করে মামলা করে আটকে রাখে। সেই সুযোগে শুক্রবার রাতের মধ্যেই ওই শিক্ষকের বসতঘর সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা হয়।
এ ব্যাপারে ওসি এসএম আল মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করি। ঘর ভাংচুর করার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দেয়নি।