মা তিন বার ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তাই এবার ছেলে গেলেন পরীক্ষা দিতে, মায়ের ছদ্মবেশে। কিন্তু পরীক্ষা দেয়ার আগেই ধরা পড়লেন। ছেলের ছদ্মবেশ ধরা পড়ে যায়। পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় তাকে।
ব্রাজিলের নোভো মুটুম পারান শহরে বাসিন্দা বছর ষাটের মারিয়া শ্যায়েভ। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বার বার চেষ্টা করেও ড্রাইভিং টেস্টে পাস করতে পারছিলেন না। শেষে তার ৪৩ বছরের ছেলে হেইটার শ্যায়েভ উদ্ধারকর্তা হয়ে এগিয়ে আসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও উদ্ধার করে পারেননি।
মায়ের মতো ছদ্মবেশ নিয়ে ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে যান ছেলে। মায়ের মতো যাতে দেখায় তার জন্য পোশাক, পরচুলা, নখে নেইলপালিশ, মুখে মেকাআপ করেন বয়স্ক দেখানোর জন্য। কিন্তু তারপরও ধরা পড়েন হেইটার শ্যায়েভ।
প্রথম ধাপ পেরিয়ে পরীক্ষা দিতে গাড়ির চালকের আসনেও বসে পড়েন হেইটার। কীভাবে গাড়ি পার্ক করতে হবে সেই পরীক্ষা চলছিল। কিন্তু ড্রাইভিং ইন্সপেক্টরের সন্দেহ হতে থাকে তাকে দেখে। দেখেন লাইসেন্সের জন্য দেওয়া নথিপত্রের ছবির সঙ্গে ড্রাভিং সিটে বসা মহিলাকে দেখতে কেমন যেন আলাদা আলাদা লাগছে।
ড্রাইভিং ইনস্পেক্টর অ্যালাইন মেনডোনকা পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি যতটা সম্ভব স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছিলেন। তিনি মহিলাদের মতো গয়নাও পরেছিলেন। কিন্তু তাকে দেখে সন্দেহ হয়। তাই জেরা করতেই আসল কাহিনী বেরিয়ে পড়ে।
প্রতারণার দায়ে পুলিশ হেইটারকে গ্রেফতার করে। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, মায়ের হয়ে তিনি পরীক্ষা দিতে এসেছেন, এটা তার মা জানেন না। পরে পুলিশ হেইটারের জরিমানা করে ছেড়ে দেয়।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় হেইটার বেশ সমর্থন পেয়েছেন। নেটিজেনদের কয়েকজনের দাবি, মাকে ভালবাসেন, তাই এমন করেছেন।