বাড়িতে মায়ের মরদেহ রেখে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে জেমি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমিরউদ্দিন স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ২০১ নম্বর কক্ষে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিশ্রামপুর দাখিল মাদরাসা থেকে জুনিয়র দাখিল পরীক্ষা (জেডিসি) দিচ্ছে সে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে জেমি। জেমি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রামপুর আগাটলা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে।
কেন্দ্র সচিব ও বড়পলাশবাড়ী আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ কুসুম উদ্দীন জানান, পুরো তিন ঘণ্টাই পরীক্ষা দিয়েছে ওই পরীক্ষার্থী। চোখে পানি নিয়ে পরীক্ষা দিতে এলেও পরীক্ষা ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছে জেমি।
জেমির ভাই খাদেমুল ইসলাম জানান, দেড় বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তাঁর মা রোকেয়া খাতুন (৩০)। গত তিন মাস হলো গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান। সকালে খালি মুখে চোখে জ্বল নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেছে তাঁর আদরের ছোট বোন জেমি আক্তার।
মাকে হারিয়ে ভাই-বোন দুজনেই অসহায় হয়ে গেলেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেন খাদেমুল। বিকেল ৩টার সময় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয় জেমির মাকে।
পরীক্ষার্থী জেমি আক্তারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মো. আলাউদ্দীন আল আজাদ ও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।