বরগুনায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাড়িতে পুলিশের ৩টি ডিউটি পোস্ট বসানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ সদস্য। পুলিশের দাবি, মিন্নির নিরাপত্তার স্বার্থেই বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ২৬ জুন রিফাত শরীফকে হত্যার পরই মিন্নির বাড়িতে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবং ৩ জন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে একজন উপ-পরিদর্শক অথবা পরিদর্শকের নেতৃত্বে ৯ জন কনস্টেবল বাড়ির ৩টি ডিউটি পোস্টে অবস্থান করছেন।
রোববার বিকেলে বরগুনা সদরের নয়াকাটা গ্রামে মিন্নিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের ঘরের সামনে পুলিশের বসবাসের জন্য নতুন করে একটি টিনের ঘর তৈরি করা হচ্ছে। এখানে পুলিশের অন্তত ১০ সদস্যের সার্বক্ষণিক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া ঘরের পেছনে এবং উত্তর পাশে আরও দুটি ডিউটি পোস্ট নতুন করে বসানো হয়েছে।
এদিকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের নতুন একটি সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর মিন্নির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে ২৬ জুন ১০টা ১২ মিনিটে রিফাত শরীফ স্ত্রী মিন্নিকে নিয়ে কলেজের গেট দিয়ে বের হয়ে আসেন। হঠাৎ মিন্নি পেছন থেকে পুনরায় কলেজের দিকে চলে গেলে রিফাতও তার সঙ্গে কলেজের দিকে যান। এর একটু পরেই রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর নেতৃত্বে কয়েকজন রিফাত শরীফকে কিলঘুষি মারতে মারতে নয়ন বন্ডের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় স্ত্রী মিন্নি পেছনে পেছনে স্বাভাবিক গতিতে হাঁটছিলেন। পরে রিফাত শরীফকে কোপানোর সময় মিন্নি তাকে রক্ষায় জোরালো চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে তার আগে রিফাতকে সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে নির্লিপ্ত দেখা যায়। এসব দৃশ্যসহ নানা দিক মানুষের আলোচনায় চলে আসছে। মিন্নিকে পুলিশ নজরদারিতে রাখা হয়েছে- এমন আলোচনাও রয়েছে লোকমুখে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত ৩ জুলাই মামলার ২ নম্বর আসামি এবং কিলিং মিশনের নেতৃত্বদানকারী রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই মিন্নির বাড়িতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
মিন্নিকে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে কি-না অথবা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হবে কি-না- জানতে চাইলে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।