মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতেই হবে - দৈনিকশিক্ষা

মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতেই হবে

মাছুম বিল্লাহ |

আজ ৫ অক্টোবর গোটা বিশ্বের শিক্ষকদের জন্য একটি বিশেষ দিন। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের এই দিবসটির স্লোগান হচ্ছে  “Young Teachers: The future of the Profession.” শিক্ষকতা পেশায় তরুণরা আসবেন  এবং তাদের জন্য তৈরি হবে ক্যারিয়ার পাথ; পেশাটিকে তারাই করবেন উন্নত ও মানসস্মত।

অনেকেই মনে করেন যে, শিক্ষকতা পেশায় কাজ কম, ছুটি বেশি; অতএব অন্য চাকরির মতো বাড়তি কোনো প্রেসার নেই। বিষয়টি আসলে তা নয়। ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ফাইন্ডেশন ফর এডুকেশনাল রিসার্চের এক সমীক্ষায় সম্প্রতি উঠে এসেছে এমন তথ্য। পরিসংখ্যান বলছে, অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রে যেখানে ৩২ শতাংশ কর্মীরা তাদের কর্মক্ষেত্র নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন, সেখানে শিক্ষকদের এই হিসেব দাঁড়িয়েছে ৪১ শতাংশ। এমনকি নিজের কাজ নিয়ে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শিক্ষকই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রে প্রতি আটজনে দুশ্চিন্তায় ভোগেন একজন।

আরও দেখুন: বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন শুরু হলো যেভাবে (ভিডিও) 

গবেষক জ্যাক ওয়ার্থ বলেন, ‘ইংল্যান্ডের স্কুলগুলোতে শিক্ষকতা পদে নিয়োগ ও পড়ুয়াদের সংখ্যার মধ্যে বিশেষ অসাম্য লক্ষ করা যায়। ফলে দিনকে দিন এই প্রশিক্ষকদের মানসিক সমস্যা বেড়ে চলেছে। অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আরও কঠিন সময় আসতে শুরু করবে।’

ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম্যারি বোস্টেড বলেন, ‘এর ফলে অনেকেই শিক্ষকতার পেশা থেকে দূরে থাকতে চাইছেন। এ ধরনের তথ্য খোদ উন্নত বিশ্বের একটি দেশের। আমাদের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশে এই সমস্যা আরও কঠিন এবং ভিন্নমাত্রার।’

শিক্ষকতা পেশায় সমস্যা শুধু আমাদের দেশের নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা। ৩৪তম ও ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া শতাধিক মেধাবী শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। একইভাবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যারা চাকরি শুরু করেন, শুরুর পর থেকেই চাকরি ছাড়ার চিন্তায় থাকেন। আমাদের দেশে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা সোয়া চার লাখ। অন্যান্য সব বিভাগ মিলিয়ে বাকি প্রায় আট লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে যাদের জন্য ২৭টি ক্যাডার সার্ভিস থাকলেও সোয়া চার লাখ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য কোনো ক্যাডার সার্ভিস নেই। আর ক্যাডার পদ না থাকায় তেমন কোনো পদোন্নতিরও সুযোগ নেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসছেন না।

প্রাথমিক শিক্ষায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার, ইনস্ট্রাকটর ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণি পদমর্যাদার চাকরি করেন। আর সহকারী শিক্ষকরা এখনও তৃতীয় শ্রেণির। প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা এখনো ১১তম গ্রেডে চাকরি করেন। শুধু কি তাই? সরকারের এমন কোনো কাজ নাই যা তাদের করতে হয়। যেমন- ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভোটগ্রহণ, এমনকি গ্রামের পাকা পায়খানা বানানোর কাজটাও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা করেন। এসব কাজ স্কুল খোলা থাকার সময় হয়। ফলে শিক্ষকদের যত শিক্ষা ঘণ্টা পাঠদান করানেরা কথা ততক্ষণ তারা পাঠদান করাতে পারছেন না।

বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দুই কোটি ঊনিশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা দেয়া রাতারাতি সম্ভব নয় বলে মনে করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন,‘প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রবর্তন করা হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। সরকার সবার জন্য শিক্ষা বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখতে গিয়ে শুধু সংখ্যার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। সংখ্যা আমরা অর্জন করতে পেরেছি। এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুরা কতটা জ্ঞান অর্জন করল, সেটির দিকে দৃষ্টি দেয়া।’ 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশ, এটি নিশ্চয়ই আনন্দের সংবাদ। কিন্তু তারা আসলে কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কি শিখছে সেটি একটি বড় প্রশ্ন। বিশ্ব ব্যাংকের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বাংলাই দেখে পড়তে পারে না। ইংরেজি ও গণিতে দুর্বলতা তার চাইতেও বেশি। “কিছু বাচ্চা অক্ষরই চেনে না।” এই বাস্তবতার মধ্যে বাংলাদেশও বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করছে। 

আইএলও এবং ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী ‘সমযোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি সমান পেশায় নিয়োজিত থাকলে তারা সমান মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।’সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের পেশাগত সমান মর্যাদা ও অর্থিক সুযোগ-সুবিধা সুনিশ্চিত করা দরকার। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের পর কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। অথচ এই সময়ের মধ্যে দেশে সাত হাজারেরও অধিক বেসরকারি মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া ননএমপিও প্রতিষ্ঠানও আছে প্রায় তিন হাজার। সব মিলিয়ে দশ হাজারেরও বেশি সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলো এমপিও পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে। এগুলোর শিক্ষকরা একবার আন্দোলনে নামেন আবার ফিরে যান।

বেসরকারি শিক্ষকদের সর্বশেষ আন্দোলনের পর সরকার তিনবারে প্রথমবার একহাজার, দ্বিতীয়বার দুই হাজার এবার বলছে ২ হাজার ৭৬২টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করবে; কিন্তু সঠিক ঘোষণাটি এখনও আসেনি। তবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সুবিধা প্রদানের নীতিমালা হতে হবে স্বচ্ছ, নিয়মমাফিক এবং বৈষম্যহীন। বেসরকারি হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তি থাকতে পারবেন না। আর শিক্ষকদের অর্থনৈতিক চিন্তায় দিনযাপন করতে না হয় সে ব্যবস্থা সরকারকে নিতে হবে। ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকবেন সরকারি কর্মকর্তা ও দু একজন প্রকৃত বিদ্যেৎসাহী ব্যক্তি। শিক্ষকদের যেমন অর্থনৈতিক নিরাপত্তা থাকতে হবে তেমনি শিক্ষার মানের প্রশ্নে কোন ধরনের আপোস করা যাবে না। বেসরকারি শিক্ষকরা চান অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, বৈষম্যহীন আচরণ ও শিক্ষার মান উন্নীতকরণ। সরকার শিক্ষকদের এই চাহিদাগুলো পূরণ করলে শিক্ষার মানের ওপর ধণাত্মক প্রভাব পড়বে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি সম্পর্কে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির অশিক্ষিতরা শিক্ষকদের ওপর বেশি কর্তৃত্ব ফলান।’ তিনি বিষয়টি অনুধাবনই করেননি, বরং আরও বলেছেন, শিক্ষকদের সম্মান দেয়ার মতো শিক্ষিত লোক ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। ম্যানেজিং কমিটির অশিক্ষিতরা শুধু শিক্ষকদের ওপর কর্তৃত্বই ফলান না, তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন। কান ধরে উঠবস করানো, গায়ে মলমূত্র ঢেলে দেয়ার মতো অমানবিক আচরণ তাদের ওপর করা হয়। এগুলো বাস্তব ঘটনা এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা সদস্য হওয়া মানে এগুলো করতে পারার লাইলেন্স পাওয়া। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই ব্যবস্থাপনা কমিটির পদগুলো দখল করে রাখেন। কারণ সেখানে অর্থনৈতিক ফায়দা রয়েছে। এই কমিটি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয় মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে। এই অর্থ হাজার বা দু এক লাখ টাকা নয়, দশ, বার, পনের লাখ এমনকি বিশ লাখ টাকা পর্যন্ত। অথচ ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকার কথা ছিল এলাকার প্রকৃত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ও শিক্ষিত ও বিদ্যেৎসাহী ব্যক্তিদের। তাদের অংশগ্রহণ শিক্ষা কার্যক্রমকে তরান্বিত করবে, উন্নত করবে। কমিউনিটির সরাসরি অংশগ্রহণে শিক্ষা কার্যক্রম হবে আরও বেগবান, বাস্তবধর্মী ও অংশগ্রহণমূলক। তাদের সহযোগিতায় এক নতুন শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে, শিক্ষকরা তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। তাদের এলাকার প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য তারা থাকবেন নিবেদিতপ্রাণ। এসব উদ্দেশ্যেই স্থানীয় জনসাধারণের সম্পৃক্ততা থাকতে হয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

কিন্তু হয়েছে পুরো উল্টো (দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া)। তাই বহুদিন যাবত সরকার চেষ্টা করছে এখানে কিছু একটা করার। কারণ শিক্ষার মান তলানীতে গিয়ে পড়েছে। তার কয়েকটি কারণের মধ্যে এটি হচ্ছে মুখ্য একটি কারণ। এছাড়া এখন এনটিআরসি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে এসব কমিটি কোনোভাবেই ভালো মনে করে না। তবে আমরা ভালো মনে করি, শিক্ষিত সমাজ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। আসলে প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ, দক্ষ ও আধুনিক কমিশন যা শিক্ষকদের বাছাই করবে। 

দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে তাকালে রীতিমত আঁতকে উঠতে হয়। ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, রুম দখল তো আছেই, এর সাথে যুক্ত হয়েছে শিক্ষকদের টাকা ভাগাভাগি ঐসব ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে। কিছু কিছু ভিসির দুর্নীতি শিক্ষকদের মান-সম্মান ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে ভিসি নিয়োগের এটি হচ্ছে ভয়াবহ পরিণাম। গোটা শিক্ষক সমাজের সম্মানহানি করার অধিকার কারুর নেই। ভিসি একজন শিক্ষক, একটি প্রতিষ্ঠান, সমাজের একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। অথচ দুর্নীতির দায়ে তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দিনের পর দিন আন্দোলন করতে হয়, লাল কার্ড দেখাতে হয়। তারপরেও তারা গদি ছাড়তে চান না। এই কি শিক্ষকতা? আজকের দিনে আমাদের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।

সরকার এবং শিক্ষক সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে শিক্ষক ও শিক্ষা আন্দোলনের পথিকৃত অধ্যপক এম শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে আমাদের দেশে সর্বপ্রথম বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়। তবে, অন্যান্য দেশে সরকারিভাবে দিবসটি পালিত হলেও ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে আমাদের দেশে দিবসটি সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে না। এটি রহস্যময়! 

সরকার শিক্ষাখাতে বিশাল বরাদ্দ রাখছে। শিক্ষা ও শিক্ষকদের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের তরফে যা কিছু করা হচ্ছে, যেসব পরিকল্পনা রয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষকদের অবস্থা কি, শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন কীভাবে ঘটানো যায়, রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ এবং শিক্ষক সংগঠনগুলোর ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়গুলো বিশ্ব শিক্ষক দিবসে আলোচিত হওয়া উচিত। কিছু শিক্ষক সংগঠন দিনটিকে পালন করে, যার মাধ্যমে দিবসটির প্রকৃত মর্মার্থ গোটা দেশের শিক্ষক সমাজের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এটির পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। আমরা চাই দিবসটি সরকারিভাবে পালিত হোক। 

মাছুম বিল্লাহ : শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0066838264465332