ছোট মেয়ে নিশাত তাসনিম জ্যোতি (৩০) করোনা পজেটিভ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার মা রওশন আরা (৫৫) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ভোরে জেলার ডোমার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড সাহাাপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। তবে, ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন নিহত শিক্ষিকা আক্রান্ত ছিলেন না তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
রওশন আরা সাহাপাড়া নিবাসী মো. জামসেদ আলীর স্ত্রী ও ডোমার বড়রাউতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
শিক্ষিকার স্বামী জামসেদ আলী বকুল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, দীর্ঘদিন থেকে তার স্ত্রী হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার আমার ছোট মেয়ে জ্যোতি করোনা পজেটিভ হলেও আমার স্ত্রীর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। করোনায় আমার মেয়ে আক্রান্ত হলে এ নিয়ে তিনি টেনশন করতে থাকেন। মঙ্গলবার ভোরে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
জানা গেছে, এলাকাবাসী প্রথমে লাশ বাড়িতে আনতে বাধা দিলেও পরে লাশ তাদের বাড়িতে ঢোকানো হয়।
কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মঙ্গলবার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের কাউলাতলায় তার শ্বশুরবাড়িতে তার দাফনকাজ সম্পন্ন হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষিকা রওশন আরার স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। গত ১১ জুলাই তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনার স্যাম্পল নেয়া হলে ১৩ তারিখের রিপোর্টে তার ছোট মেয়ে নিশাত তাসনিম জ্যোতি (৩০) করোনা পজেটিভ। তবে, শিক্ষিকাসহ তাদের পরিবারের সকলের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তার মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হলে রাতেই স্বাস্থ্য বিভাগ নিশাত তাসনিমকে হোম আইশোলেশনে রাখার পাশাপাশি তাদের পরিবারকে লকডাউন করেছেন।