মুক্তাগাছায় তুচ্ছ ঘটনায় ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে স্কুলের প্রধান ফটক ও দোকান ভাঙচুর করল ওই স্কুলেরই ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য। তার নেতৃত্বে ত্রাস সৃষ্টি করা হলো পুরো বিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকায়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। সোমবার রাতে উপজেলার খেরুয়াজানি উচ্চ বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়-সংলগ্ন বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানান, মুক্তাগাছার খেরুয়াজানি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সোমবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের রিপনকে মারধর করেন খেরুয়াজানি গ্রামের ইমরান ও তার সঙ্গীরা। এ ঘটনায় ওই দিন রাত ৯টার দিকে রিপনের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক বিদ্যালয়-সংলগ্ন বাজারে মহড়া দেয়। এর পর ইমরানের পক্ষ হয়ে তার মামা ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সোহেল রানা বাচ্চুর নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল দেশি অস্ত্র নিয়ে বাজারে মহড়া দেয়। এ সময় তারা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও এ-সংলগ্ন কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। পরে তারা গভীর রাত পর্যন্ত বাজার ও স্কুল মাঠ এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। তাদের ভয়ে মুহূর্তেই পুরো বাজার ফাঁকা হয়ে যায়। বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত পূর্বক এ ঘটনার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, বাজার ও এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটলেই তারা সেখানে হামলা চালায়। এটা কোনোমতেই মেনে নেয়া যায় না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি আমি।
এ ঘটনা অস্বীকার করে সোহেল রানা বাচ্চু বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই, আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হয়েছে। তবে ঘটনার সময় বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছি আমি।
থানার ওসি আলী মাহমুদ বলেন, বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি।