গাজীপুর মহানগর এলাকায় কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে শুক্কুর আলী (২৮) নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায়ি এ ঘটনায় পূবাইল থানায় ঐ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শুক্কুর আলী পৌরসভার বালিগাঁও এলাকার আবদুল আলীর ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র জানায়, টঙ্গী সরকারি কলেজে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছাত্রীর বাবা ও মা মারা গেছেন। তাদের বাড়ি কালীগঞ্জে। একমাত্র ছোটো ভাই দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন। দাম্পত্য কলহে ভাইয়ের স্ত্রী সম্প্রতি কালীগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে কলেজছাত্রী ও তার ভাইকে। এ ঘটনায় হয়রানি এড়াতে ঐ ছাত্রীকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দেন মুরুব্বিরা। সংসদ সদস্যের ঢাকার বাসা না চেনায় ছাত্রী সহযোগিতা চান যুবলীগ নেতা শুক্কুর আলীর কাছে।
শুক্কুর আলী ঐ ছাত্রীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেকে নেন। এরপর মোটরসাইকেলযোগে ঐ ছাত্রীকে নিয়ে তিনি কালীগঞ্জ থেকে রওনা দেন। রাত ৮টার দিকে ছাত্রীকে পূবাইল থানার বাড়ৈইবাড়ি এলাকার একটি শুটিং স্পটে নিয়ে যান শুক্কুর। ছাত্রীর সন্দেহ হলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। তখন যুবলীগ নেতা শুক্কুর তাকে টেনে একটি ঘরে ঢোকানোর চেষ্টা করেন। এসময়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে শুক্কুর আলী পালিয়ে যান। পরে এলাকার লোকজন ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। শুক্কুরের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে ও নারী কেলেংকারীর বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
পূবাইল থানার ওসি নাজমুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা শুক্কুর আলীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।