রাজশাহীতে বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে নেই শহিদ মিনার। ফলে, মাতৃভাষা দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারেনা রাজশাহীর বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক হলেও রাজশাহী জেলায় ৮৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নেই।
জানা যায়, শহিদ মিনার না থাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যেতে হয় অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের শহিদ মিনারে। আবার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানে দিবসটিতে পালিত হয় সরকারি ছুটি হিসেবে।
রাজশাহী জেলা প্রাথমিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, পুরো জেলায় এক হাজার ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১০৭টিতে শহীদ দিনার রয়েছে। বাকিগুলোতে নেই শহিদ মিনার। যদিও স্ব-দফতরটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
নগরীর বুধপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। তারা বিভিন্ন দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে আসেন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
অন্যদিকে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার না বানিয়ে শুধু আলোচনা সভা বা মিলাদ মাহফিল করে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে তাও করা হয় না।
নগরীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারিয়া সুলতানা জানায়, ‘তার বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নাই। তবে বিভিন্ন দিবসে অস্থায়ীভাবে শহিদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তবে শহিদ মিনার হলে অনেক ভালো হবে।’
রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী আবদুল বারি জানায়, ‘বর্তমানে ১০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৈরি করা হবে।’