রাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় দণ্ডিত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে রাজশাহীর আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এনায়েত কবীর সরকারের আদালতে এ অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ সময় আদালতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ৬০ আসামিকে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন ওই আদালতের এপিপি শিরাজী শওকত সালেহীন।
তিনি দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, মামলার মোট আসামি ১১০ জন। ১০৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন আসামি মারা গেছে। এ ছাড়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন ৬০ জন। পলাতক রয়েছে ৪৭ জন আসামি।
আসামিপক্ষে আইনজীবী মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্যানেল এ মামলা লড়ছেন। এই মামলায় সাক্ষী রয়েছে ১০০ জনেরও বেশি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা। ওই সংঘর্ষে শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে হত্যা করে লাশ শাহ মখদুম হলের পেছনের ম্যানহোলে ফেলে দেয়।
এ নিয়ে নগরীর মতিহার থানায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩৫ শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেক শিবির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
পরে ওই মামলার হুকুমের আসামি করা হয় জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ বেশ কয়েকজনকে। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নিজামী ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে নগরীর মতিহার থানা পুলিশ ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘদিনেও মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি।