বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আরিয়ান শ্রাবণের দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড (জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজত) মঞ্জুর করেছেন আদালত। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী গতকাল শনিবার বিকেলে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিতীয় দফায় আরিয়ান শ্রাবণকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত আরিয়ান শ্রাবণের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।[insie-ad]
গত সোমবার রাতে আরিয়ান শ্রাবণকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ওই দিন বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার প্রথম দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
এর আগে ৯ জুলাই সন্দেহভাজন রাফিউল ইসলাম রাব্বি ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা তানভীর গত ১ জুলাই একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন এবং ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন গত ৪ জুলাই। পরদিন একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মো. সাগর ও নাজমুল হাসান।
এ মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদা গত ৮ জুলাই সকালে উদ্ধার করে পুলিশ। আর নয়ন বন্ডের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের করা দুটি মামলায় রিফাত ফরাজিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সাত দিন রিমান্ড শেষে পুলিশের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে আছে রিফাত ফরাজি।
এ ছাড়া এ মামলার ৬ নম্বর আসামি রাব্বি আকন সাত দিনের, ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় পাঁচ দিনের এবং সন্দেহভাজন রাতুল সিকদার ও সাইমুন তিন দিনের রিমান্ডে আছে।