রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা করেছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে তারা চলমান আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা করেন। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা মূল্যায়ন করে আন্দোলনের পরবর্তী তারিখ ঘোষণা দেয়া হবে বলেও জানান তারা।
আন্দোলনের মুখপাত্র ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জিসাদ মোহাম্মদ বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাসার সামনে একটি মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। সেদিন পুলিশ মৃতদেহ আজ্ঞাতমানা হিসেবে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার রাতে মৃতদেহটি আমাদের স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৬৯তম ব্যাচের রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার বলে জানা যায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সহপাঠীর এমন অকাল মৃত্যু স্টামফোর্ড পরিবার মেনে নিতে পারছে না। তার অপমৃত্যুর কারণ ও বিচার দেশবাসীসহ সকলে জানতে চাই। রুম্পার অপমৃত্যুর তদন্ত সুষ্ঠু ও দ্রুতভাবে যেন শেষ করা হয় এজন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত ৬ ডিসেম্বর থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করি।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিষয়টির তদন্ত কাজ চলছে। আমরা জেনেছি যে, একজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। যাকে বর্তমানে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ফরেনসিক বিভাগের প্রতিবেদন এখনও পৌঁছায়নি। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখে আমরা তাদের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করব। সম্পূর্ণ তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তদন্তকাজে সম্পৃক্তদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উন্মোচনের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, রুম্পা হত্যার বিচারে গত সাতদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তারা মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রদক্ষিণ করেন। ‘উই ওয়ান্ট জার্স্টিস’ স্লোগানে ক্যাম্পাস এ সময় উত্তাল হয়ে ওঠে।