স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিএনএ নমুনা, ভিসেরা ও ব্লাড পরীক্ষার রিপোর্ট পরীক্ষাগার থেকে পাওয়া যাবে বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানিয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, রুম্পা ধর্ষণ হয়েছে কিনা, ডিএনএ নমুনা, ভিসেরা ও ব্লাড পরীক্ষার রিপোর্ট ১৪ ডিসেম্বর পরীক্ষাগার থেকে পাওয়া যাবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটাও নিশ্চিত হতে পারবে ডিবি পুলিশ। পাশাপাশি মৃত্যুর আগে রুম্পা ধর্ষিত হয়েছিল কিনা তাও জানা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার লাশ উদ্ধারের পরদিন শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে উপর থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার নমুনা পাওয়া গেছে। তার ভিসেরা ও ব্লাড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর আগে শারীরিক মেলামেশা বা ধর্ষণ হয়েছে কিনা, সেই নমুনাও পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। নেয়া হয়েছে ডিএনএ নমুনাও। সব পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এদিকে, গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা রুম্পার প্রেমিক সৈকত ও তার বন্ধুরা ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল পুলিশ। রুম্পাকে নিয়ে সৈকত সেই ভবনে ঢুকেছিল এমন ফুটেজ এখন গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। ভবনের ছাদের কোণায় রুম্পার জুতার ছাপও পেয়েছে। এসব আলামত এখন সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মরদেহ পাওয়া যায়। ২৫৫ শান্তিবাগে মা পারুল বেগম রুম্পা ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। তার বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক।