২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বিশ্বে মানুষের দুই কোটি চাকরি রোবটের দখলে চলে যাবে বলে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। রোবট দিয়ে কাজ করানোর ফলে সামগ্রিক অর্থব্যবস্থার উন্নতি হলেও সামাজিক বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গবেষকরা। সূত্র : এএফপি।
গতকাল বুধবার ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গবেষণাটি এমন সময় প্রকাশ করা হলো যখন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, ট্রাক, কারখানা, গুদামঘর, রোবটের সাহায্যে খাবার তৈরি করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির নতুন সংযোজন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্কবিতর্ক চলছে।
গবেষণায় বলা হয়, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রব্যবস্থা ও রোবটের কারণে আর্থিক মুনাফা অর্জনের সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে। কিন্তু এর ফলে স্বল্প দক্ষতা থাকলেই চলে এমন চাকরিতে মানুষের আর প্রয়োজন থাকবে না। এ কারণে এ ধরনের চাকরিতে নিয়োজিত বহু মানুষ চাকরি হারাবে। তাতে বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক চাপ অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
এতে আরও বলা হয়, রোবটের কারণে অনেকের স্বল্প দক্ষতার চাহিদাসম্পন্ন চাকরি চলে গেলেও যাঁরা উচ্চ দক্ষতার চাহিদাসম্পন্ন চাকরি করেন, তাঁদের বেশির ভাগই স্বপদে বহাল থাকবেন। তাঁদের চাকরি হারানোর হার হবে স্বল্প দক্ষতার চাহিদাসম্পন্ন চাকরিতে নিয়োজিতদের তুলনায় অর্ধেক। ফলে দুই পক্ষের ব্যবধান বাড়বে, সঙ্গে বাড়বে সামাজিক বৈষম্য।
তবে এ প্রযুক্তির ইতিবাচক দিকও তুলে ধরা হয়েছে গবেষণায়। বলা হয়েছে, রোবটের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ক্ষেত্রে উৎপাদন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে। তৈরি হবে নতুন চাকরির ক্ষেত্র।