পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কৃত ১৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন তাদের সহাপাঠীরা। দাবি না মানলে ক্লাস ও পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। এর আগে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপিও দেন।
এদিকে র্যাগিংয়ের শিকার প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরাও তাঁদের বড় ভাইদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবে চাপের কারণে তাঁরা এটি করেছেন কি না তা জানা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হল-১-এর গণরুমে প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের দায়ে গত ২৩ জানুয়ারি তৃতীয় সেমিস্টারের ১৫ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের সাময়িক বহিষ্কার দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, ১৪ জানুয়ারি হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠান থাকায় তারা নবীন শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানাতে তাদের গণরুমে প্রবেশ করেন। এ সময় শিক্ষকরা এসে বাইরে থেকে রুমের দরজা লাগিয়ে দেন এবং কিছুক্ষণ পরে দরজা খুলে সবার ছবি তুলে রাখেন। পরে ২৩ জানুয়ারি ১৫ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের বহিষ্কারাদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, র্যাগিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই তাদের ১৫ সহপাঠীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের শাস্তিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আশাহত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ১৫ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এই বহিষ্কারদেশ প্রত্যাহার না হলে আরো কঠোর আন্দোলন হবে।
এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে শাস্তি কমবে, নাকি একই থাকবে।