শতভাগ বেতনের দাবি করায় সিলেটের মইন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ করেছেন প্রভাষক মাহবুবুর রউফ। সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে অনার্স কোর্সের নিয়মিত প্রভাষক হিসেবে যোগদান করার পর থেকে মাসিক সম্মানী ভাতা দেয়া হতো ৫ হাজার টাকা। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পাওয়ার কথা ২২ হাজার টাকা।
কলেজের অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিনের কাছে শতভাগ বেতন ভাতার দাবি জানানোর পর থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করার সুযোগ খোঁজা হয়। তিনি আরো বলেন, ‘অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমার সন্তান সমতুল্য দ্বাদশ শ্রেণির ৮-১০ জন শিক্ষার্থীকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিপক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ দাঁড় করান।
শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর অভিযোগ দেয়। দীর্ঘ কয়েক মাস ওই অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি অধ্যক্ষ। ওই অভিযোগ চলতি বছরের ২৯শে জানুয়ারি গভর্নিং বডিতে এজেন্ডাভুক্ত না করেই শোকজ ও সাময়িক বরখাস্ত করেন তিনি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে আমি লিখিতভাবে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শোকজের জবাব দিই।
জবাব পেয়ে অধ্যক্ষ আরো ক্ষিপ্ত হন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির শর্তাবলির রেগুলেশন (সংশোধিত) ২০১৫ আইন এবং তদন্ত কমিটি অমান্য করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে ১৯শে ফেব্রুয়ারি বরখাস্ত করেন। গত ৫ই মার্চ অধ্যক্ষের ইস্যুকৃত বরখাস্তের চিঠি পেয়ে আমি এই অবৈধ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ১৪ই মার্চ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর আপিল করি।
এরপর ২রা মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আমার আপিল মঞ্জুর করে ১৩ই মে উভয়পক্ষের শুনানি করে। এ শুনানির পর এখন পর্যন্ত আপিলের কোনো চূড়ান্ত রায় দেয়া হয়নি। আপিলের শুনানির রায় না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আমাকে বরখাস্তের বিষয়টির সুরাহা হয়নি। মাহবুবুর রউফ এসব বিষয়ে প্রশাসনকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান।