দীর্ঘদিনের বিক্ষোভ সহিংসতার পর একজন অধ্যাপককে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেল লেবানন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসান দিয়াবকে মনোনয়ন দিয়েছে হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্ররা। সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। তবে দিয়াব এখনও লেবাননের প্রধান সুন্নি অংশের সমর্থন অর্জন করতে পারেননি। ফলে তারা রাজধানীতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এজন্য দিয়াবের পক্ষে দেশের সব অংশকে সন্তুষ্ট করে সরকার গঠন ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে ঋণ ও অর্থ সাহায্য নেয়া কঠিন হতে পারে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
সুন্নিদের সমর্থন না পেলেও দিয়াব হিজবুল্লাহর পাশাপাশি শিয়া অংশের অন্যতম প্রভাবশালী দল আমাল এবং মিশেল আউনের ম্যারোনাইট ক্রিশ্চিয়ান ফ্রি প্যাট্রিওটিক মুভমেন্টের (এফপিএম) সমর্থন পেয়েছেন। লেবাননের ১২৮ সদস্যের পার্লামেন্টে এ তিন দল মিলেই সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি বুধবার রাতে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থিতা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলে নতুন কারও জন্য দ্বার খুলে যায়।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা করতে সংসদ সদ্যদের সঙ্গে বসেন। সেখানেই দিয়াব ও হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের সাবেক বিচারক নাওয়াফ সালামের নাম আসে। লেবাননের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই সুন্নি মুসলিম হতে হবে। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় সাদ হারিরির ফিউচার মুভমেন্ট পার্টির নেতারা নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। দলটি পরবর্তী সরকারে অংশ না নেয়ার কথাও জানিয়েছে।
কয়েক মাসের তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেয়া সাদ হারিরিকেই সুন্নি অংশ ফের মনোনয়ন দিতে চেয়েছিল।