রাজশাহীর মোহনপুরে সহকারী শিক্ষকের গলা কাটার হুমকি দিয়েছেন উপজেলার ধামিন নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডিএম জিয়াউর রহমান। বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সহকর্মীকে এ হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক অরুন কুমার মোহনপুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ডিএম জিয়াউর রহমান রাজশাহী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জেলার বাগমারা উপজেলা বিএনপিরও সভাপতি।
লিখিত অভিযোগে সহকারী শিক্ষক অরুন কুমার উল্লেখ করেন, গত ৩০ আগস্ট সকালে স্কুলে যাওয়ার পর প্রধান শিক্ষক ডিএম জিয়াউর রহমান তাকে তার অফিস কক্ষে ডাকেন। এরপর স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক জিয়া রাগান্বিত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক তার টেবিলের নিচে থাকা ধারালো হাঁসুয়া বের করেন তার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলার হুমকি দেন।
অরুন কুমার বলেন, ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক ডিএম জিয়াউর রহমান আমাকে হুমকি দেয়া অব্যাহত রেখেছেন। থানার দায়েরকৃত অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। এমনকি রোববার রাতে তিনি মোবাইল ফোনে আবারও আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ঘটনার পর থেকে আমি স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রুবাইয়াত হোসেন উজ্জ্বল বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমাকে কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখব। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি এ ধরনের অভিযোগ সত্য হয় তাহলে পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক ডিএম জিয়াউর রহমান বলেন, স্কুলের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় ফাঁস করার জন্য ওই শিক্ষককে বকাঝকা করেছি। হাঁসুয়া দিয়ে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। আমার স্কুলে এর আগে কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এ কারণে স্কুলের নৈশপ্রহরী হাঁসুয়াটি আমার অফিস কক্ষের টেবিলের নিচে রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষক অরুন কুমার আমার বিরুদ্ধে একটি মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। এ ধরনের ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে মোহনপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, সহকারী শিক্ষকের দেয়া অভিযোগ তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে আইনত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।