প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছুটিতে। তাই ডিসেম্বর মাসের বেতন ভাতা পাননি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৭২ জন শিক্ষক। ডিসেম্বর মাসের বেতন-ভাতা না পেয়ে এসব শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে শাহিন আক্তার নামে একজন এটিও ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকলেও আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় তিনি বেতন-ভাতা দিতে পারছেন না।
কালীগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মেহেদী সোহরাব হোসেন জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিনা আক্তার বানু হাঁটু ব্যথাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মেডিক্যাল ছুটিতে আছেন। চলতি মাসের মাসের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ছুটিতে থাকবেন। তিনি কথাবার্তা বলতে পারছেন কিন্তু হাঁটুতে ব্যথার কারণে চলাফেরা করতে পারছেন না।
তিনি আরো জানান, শিক্ষা অফিসার না থাকায় উপজেলা ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৭২ জন শিক্ষকসহ অফিসের অন্যান সহকারী কর্মকর্তা এবং স্টাফসহ আরো ৮ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ডিসেম্বর মাসের বেতন-ভাতা পাননি।
এটিও শাহিন আক্তার স্যার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকলেও তার আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় বেতন আটকে আছে। তবে বেতন চেয়ে তিনি (ডিপিও) ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। ডিপিও স্যার আমাদের বেতনের জন্য ডিজি স্যারকেও লিখিতভাবে জানিয়েছেন। ডিজি স্যার অনুমোদন দিলে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার বেতন দিতে পারবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালীগঞ্জের একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিনা আক্তার বানু মেডিক্যাল ছুটিতে থাকায় জানুয়ারি মাসেও আমরা ডিসেম্বর মাসের বেতন-ভাতা পাইনি। বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। কবে এর সমাধান হবে জানি না।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জানান, টিও (শিক্ষা অফিসার) স্যার মেডিক্যাল ছুটিতে থাকায় আমাদের ডিসেম্বর মাসের বেতন হয়নি। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার আর্থিক ক্ষমতা নেই। যার কারণে বেতন ভাতা প্রদানের জন্য অর্থাৎ আর্থিক ক্ষমতার জন্য ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার শাহিন আক্তার ডিজি ও ডিপিও’র কাছে লিখিত আকারে জানিয়েছেন। ডিজি স্যারের লিখিত ক্ষমতা পাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা বেতন ভাতায় স্বাক্ষর করতে পারবেন। তখন শিক্ষকরা বেতন ভাতা পাবেন।
মেডিক্যাল ছুটিতে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার বানু জানান, তিনি মেডিক্যাল ছুটিতে থাকায় শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি। এমনকি তিনিও বেতন পাননি। বেতনের বিষয়ে উপরে মহলে জানানো হয়েছে। আশাকরি দু’এক দিনের মধ্যে শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পেয়ে যাবেন।