করোনার এই পরিস্থিতিতে লেখাপড়ার গতি ধরে রাখতে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়ার সুযোগ পায় এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধা দেয়ার আহবান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সব বিশ্ববিদ্যালয়কেই ধীরে ধীরে অনলাইন ক্লাসে আসতে হবে বলেও জানান তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৯ আগস্ট) বিকালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,করোনা বৈশ্বিক সংকট। পাশাপাশি সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচন করেছে। অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা যেটি কয়েক বছর পর আনতেই হতো,সেটির চর্চা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এখনো অনলাইন ক্লাস শুরু করেনি,তারা সবাই অনলাইনে পাঠদান শুরু করবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয় সেটি নিশ্চিতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব রয়েছে।
এছাড়া যেসব শিক্ষার্থীর ডিভাইস কিংবা ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে সমস্যা রয়েছে তাদের সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে হবে বলেও মন্তব্য ডা. দীপু মনি।
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,শুধু ক্ষমতার পালাবদলের জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে হত্যা করে অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে আবারো পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটায় একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং একাত্তরের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে চলার পথে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সবসময় সজাগ থাকতে হবে। কারণ একাত্তরের-পঁচাত্তরের হত্যাকারীরা,ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো বসে নেই,তারা এখনো সুযোগ পেলে ছোবল মারবে। তিনি বলেন, তারা প্রশাসন এবং দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ঘাপটি মেরে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক. ড. মো. আবু তাহেরের সঞ্চালনায় এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান।