শিক্ষা কোথায় আর শিক্ষকরা কোথায়? - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষা কোথায় আর শিক্ষকরা কোথায়?

খন্দকার রেয়াজ আহমেদ |

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর শিক্ষিত জাতি তৈরীর প্রধান করিগর হচ্ছেন শিক্ষক। এই শিক্ষকরাই পারে একটি জাতিকে উন্নতির শিখওে পৌঁছে দিতে। অথচ আজ আমাদের শিক্ষকরা রাজপথে, পরে আছে অনাহরে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অথচ শিক্ষা জীবন সমাপ্তি করে তারা ব্রত হয়েছিল মহান পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করায়। তারা জানতো হয়তো এই জীবনে সুখ শান্তি তাদের আসবে না কিন্তু তারা এও জানতো এর বিনিময়ে তারা পাবেন সৎ জীবন যাপন আর সম্মান। কিন্তু ১৮-২০ বছর পেরিয়েও গেলেও তাদের জীবনে আসেনি  সেই সামন্যতম সুখ। পায়নি তারা উপযুক্ত সম্মানী বা বেতনভাতা।

অথচ সরকারি পেশাজীবি তাদেও বেতন মাসের ২-১দিনে দেরি হলে মাথা গরম হয়ে যায়। আমরা জানি, এই সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। অথচ ২৭ দিন ধরে নন এমপিও শিক্ষকরা পড়ে আসে রাজপথে ব্রত নিয়েছে দাবিদাওয়া আদায় না মানা পযন্ত বাড়ি ফিরে যাবে না। সাধুবাদ জানাই সেই সব বীর শিক্ষকদের। আর আমাদের বুদ্ধিজীবিরা বারবার বলে আসছে রাজপথে আন্দোলন না করে ক্লাশে ফিরে যেতে বলছেন। তারা এও বলছেন শিক্ষকদের আন্দোলন নাকি সাংঘর্ষিক। টকশো থেকে শুরু করে সংসদ পর্যন্ত তারা সরব। অথচ তারা রাতে  টকশোতে গলাফাটিয়ে যাবার সময় হলুদখাম নিয়ে বাড়ি ফিরেন। হলুদ খাম না  পেলে নাকি তারা টকশোতে আসেন না। আবার আসার আগে জিজ্ঞেস করে কতটাকা সম্মানী পাবে। হায়রে আমাদের দেশ। সাংসদরা ব্যস্ত তাদের  মোবাইল সেট আর মোবাইল বিল নিয়ে।

তাদের মোবাইল বিল আন লিমিটেড। এই মোবাইল দিয়ে তারা কথা বলবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে। আর এর বিল দিবে সাধারন জনগন। ২০১০ সালে ১ হাজার প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করেছে। অথচ তার ঢোল এই সরকার বাজিয়ে চলছে। তারাই সরকারে এসে এতগুলো প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করছে। অথচ এর বাইরে কত সংখ্যক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই সংখ্যা তারা আবার বলে না। এটা বলে যে ব্যাঙের ছাতার মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।

আমলা আর সরকার ব্যস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমতি দিতে আর বিনিময়ে কওে নেয় নিয়োগ বাণিজ্য। যদি এই সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দিতো তাহলে এত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতো না তখন আর কথা থাকতো না এত প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার। এর দায়  কেন শিক্ষকদের উপর পড়বে?

লেখক: প্রভাষক (ইতিহাস), দুহুলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033550262451172