শিক্ষা ডিজিটালাইজেশনের জন্য মানদণ্ড নির্ধারণ অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ। চলতি মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি ড্যাশবোর্ডর মধ্যে আনতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এ কথা বলেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সদ্য সমাপ্ত বেসিসের সফটওয়্যার মেলার শেষ দিনে 'স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অব এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট সলিউশন টু সাপোর্ট ডিজিটাল বাংলাদেশ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, কোন বিষয়টি কী অবস্থায় রয়েছে এটা জানতে শিক্ষা ডিজিটালাইজেশনের জন্য মানদণ্ড নির্ধারণ করা এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের কাজ হবে উদ্ভাবনকে আরও বেশি উৎসাহিত করা।
অনুষ্ঠানের ডিজিটাল শিক্ষাবিষয়ক সফটওয়্যারে সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড চান সংশ্নিষ্ট ডেভেলপার ও উদ্যোক্তারা। সেই সঙ্গে মানদণ্ড অনুযায়ী সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়ন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানও জরুরি বলেও মন্তব্য তাদের। এ ক্ষেত্রে দেশি সফটওয়্যার সেবাকে গুরুত্ব দিতে হবে। এটা করা না গেলে এ খাতে অসম প্রতিযোগিতার কারণে প্রতিষ্ঠিত অনেক সফটওয়্যার কোম্পানিও বন্ধ হবে।
বৈঠকে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, অবশ্যই একটি বেঞ্চমার্ক বা মানদণ্ড থাকা উচিত। তবে এই মানদণ্ড যেন আবার ইজিপির মতো না হয়। কারণ এই ইজিপিতে দৃশ্যমান কিছুই দেখা যায় না। এ রকম যাতে না হয় সেদিকেও আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন টেকনোগ্রাম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু। আলোচনায় অংশ নেন বেসিসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিজিটাল এডুকেশনের চেয়ারম্যান মো. শাকিব রব্বানী, এরিনাফোন বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বিসহ অন্যান্যরা।