আমরা চট্টগ্রামের হালিশহর থানার অন্তর্গত রামপুরের কে এল ব্লকের হাউজিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ। রমজানের বন্ধের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ২০ দিন কোচিং করতে বাধ্য করা হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই কোচিং না করলেও স্কুল খোলার পর তাদের কাছ থেকে কোচিং বাবদ ৬০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এ নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
আবার গত ১ জুলাই থেকে বাধ্যতামূলক কোচিংয়ের নামে বাণিজ্য শুরু করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। অনেক অভিভাবকের পক্ষে ঐ কোচিং ফি বহন করা সম্ভব নয়। যেমন একজনের দুই ছেলে পড়ে—একজন পঞ্চম শ্রেণি এবং একজন অষ্টম শ্রেণিতে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্কুলের মাসিক বেতন ৮০০ টাকা এবং কোচিং ফি ৬০০ টাকা। তাহলে এক শিক্ষার্থীর মাসিক খরচ দাঁড়ায় ৮০০+৬০০=১৪০০ টাকা। দু’জনের মাসিক খরচ ২৮০০ টাকা। প্রতিমাসে এত টাকা দেওয়া একজন খুচরা তরকারি বিক্রেতার পক্ষে কি সম্ভব? এমন অভিভাবক শত শত রয়েছেন। এমন কষ্টকর অবস্থা থেকে অভিভাবকদের মুক্তির জন্য সরকারের শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আফজালুর রহমান, আবদুল করিম,
শেখ মোন্নাফ, আবদুর রহিম, জমির উদ্দীন,
মো. আবদুর রহমান
কে এল ক্লক, হালিশহর, চট্টগ্রাম