সরকার নির্ধারিত শিক্ষার সকল র্ফি কার্যকর ও অবৈধভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ শোষণ বন্ধের দাবিতে বগুড়ায় ৯টি ছাত্র যুব সাংস্কৃতিক সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে পথসভা করেছে। পথসভায় টিএমএস ও বিয়াম স্কুলের শিক্ষকরা বাধা দিয়ে কর্মসূচি পণ্ড করতে চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছে ৯টি ছাত্র যুব সাংস্কৃতিক সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় টিএমএস পাবলিক স্কুল, বিয়াম মডেল স্কুল এবং জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে যুব ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সভাপতি সাজেদুর রহমান ঝিলামের সভাপতিত্বে ও ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সহ সভাপতি আয়েন উদ্দীনের পরিচালনায় এসব পথসভা হয়।
পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, জাসদ শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসানুল মনজুর দোদুল, যুব ইউনিয়ন বগুড়া জেলার প্রচার সম্পাদক সুকুমল দাস, সদর উপজেলার সভাপতি আবু বাশার চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক নূর আলম, ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দীয় সহ সভাপতি ও বগুড়া জেলা সভাপতি মো: নাদিম মাহমুদ, আজিজুল হক কলেজ শাখা সভাপতি আরমানুর রশিদ আকাশ।
সিপিবি নেতা আমিনুল ফরিদ বলেন, শান্তিপূর্ণ পথসভায় টিএমএস ও বিয়াম স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলী বাধা দিয়ে কর্মসূচি পণ্ড করার চেষ্টা করে। শিক্ষকদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর হয়ে যদি শিক্ষা বাণিজ্যের পক্ষে কাজ করে সেসব শিক্ষকের কাছ থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা নিশ্চিত সম্ভব নয়।
ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সভাপতি নাদিম মাহমুদ বলেন, সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সেশন ফি এবং ভর্তি ফি'র চাইতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই বর্ধিত শিক্ষা ফি’র জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বঞ্চিত শিশুরাই ধীরে ধীরে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষা ব্যবস্থার এই ক্ষমতার অপব্যবহার সমাজকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাণিজ্যিক মনোভাব পরিহার করে অবিলম্বে সরকার নির্ধারিত সেশন ফি নেয়ার জোর দাবি জানান এবং সরকার ও হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও তা অমান্য করে যে সকল স্কুল, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে উন্নয়ন ফি গ্রহণ করছে, ঐ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তের দাবি জানান। বগুড়ার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার নির্ধারিত সেশন ফি বাস্তবায়ন না হলে বগুড়ার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
৯টি ছাত্র যুব সাংস্কৃতিক সামাজিক সংগঠনের মধ্যে আছে- ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, ছাত্রফন্ট্র, ছাত্রলীগ (জাসদ), যুব ইউনিয়ন, যুবমৈত্রী, যুবজোট, সুজন ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।