বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো ছাত্র-ছাত্রীরা নবাগতদের সঙ্গে মজা করার অজুহাতে র্যাগিং নামক এক পৈশাচিক আচরণ করে থাকেন, যা সভ্য দেশে কল্পনাও করা যায় না। অথচ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এগুলো চালু আছে। এতে নবাগত সরলমনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক মনোবল বিনষ্ট হয়। এমনকি শিক্ষা গ্রহণও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কখনো জীবনহানিও ঘটে থাকে। রোববার (১৩ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য আসেন, তাঁরা কেন এমন অসভ্য আচরণ করেন? বিষয়টি গভীরভাবে ভাবতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখান থেকে সবাই মানবিক বোধ, প্রীতি, পরসেবার অনুশীলন শিখবে—এটাই কাম্য। হিংসা-বিবাদ পরিহার করে ভাতৃত্ব, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে। মানবিক গুণাবলি শিখে অহিংস নীতিতে ব্রতী হবে। কিন্তু বাস্তবে কি তা হচ্ছে? শিক্ষাঙ্গনে র্যাগিং দূর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদর্শ ও হৃদয়বান প্রজন্ম গড়ে উঠবে, এটাই আমরা আশা করি। র্যাগিং নামক কুপ্রথা দূর করে জ্ঞানের আলোকে উন্নত দেশের আদলে আমাদের সন্তানরা শিক্ষিত হোক—এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুনজর জরুরি।
এইচ কে নাথ : পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।